কৃষকদের বিক্ষোভ।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের প্রাসঙ্গিকতা এবং প্রয়োগ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারই বড় প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। সেই বিতর্কের আবহেই এই আইনে পাঁচ কৃষকের গ্রেফতারি নিয়ে হরিয়ানার সিরসায় তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা।
ধৃতদের মুক্তির দাবিতে সে রাজ্যের সিরসা জেলায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন কৃষকরা। ওই এলাকায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও শনিবার বিকেলের দিকে চাষিদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন কৃষকরা। শুধু তাই নয়, জেলা পুলিশ সুপারের অফিসও ঘেরাও করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। চাষিদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েতও যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলাকালীন গত রবিবার বিজেপি নেতা তথা ডেপুটি স্পিকার রণবীর গঙ্গোয়ার গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তার পর বৃহস্পতিবারই দুই কৃষক নেতা-সহ ১০০ জন কৃষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের করে হরিয়ানার বিজেপি সরকার।
ঘটনাচক্রে, ওই দিনই ‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন’-এর যথেচ্ছ অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইনটিকে ‘ঔপনিবেশিক’ বলে মন্তব্য করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কেন এমন দমনমূলক একটি আইনের অস্তিত্ব থাকবে, সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।