Farmer's Protest

ফসলের সহায়ক মূল্য নিয়ে অর্ডিন্যান্স আনতে হবে কেন্দ্রকে, চতুর্থ বৈঠকের আগে দাবি কৃষকদের

রবিবারের বৈঠকের আগে অন্যতম কৃষকনেতা সারওয়ান সিংহ পান্ধের জানান যে, তাঁরা চান, ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য নিয়ে কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স আনুক। তাঁর কথায়, “বল এখন সরকারের কোর্টে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:২৮
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে কৃষকনেতা সারওয়ান সিংহ পান্ধের এবং অন্যরা। —ফাইল চিত্র।

ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ আনতে হবে সরকারকে। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগেই শর্ত দিয়ে রাখলেন আন্দোলনকারী কৃষকেরা। রবিবারই চণ্ডীগড়ে কৃষকনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, অর্জুন মুন্ডা এবং নিত্যানন্দ রাই। এর আগে কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের তিনটি বৈঠক হলেও, সেগুলি থেকে কোনও রফাসূত্র মেলেনি।

Advertisement

রবিবারের বৈঠকের আগে অন্যতম কৃষকনেতা সারওয়ান সিংহ পান্ধের জানান যে, তাঁরা চান, ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য নিয়ে কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স আনুক। তাঁর কথায়, “বল এখন সরকারের কোর্টে।”

কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার ‘দিল্লি চলো’ যাত্রা শুরু করেছেন কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা— মূলত এই তিন রাজ্যের কৃষকেরাই এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভ যোগ দিয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশোটি কৃষক সংগঠন। কৃষকদের দাবি, ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মেনে ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ সালের প্রতিবাদে কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা খারিজের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

Advertisement

কৃষক আন্দোলনের জেরে বিগত চার দিন ধরে উত্তাল পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানা। শম্ভু সীমানার পর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে হরিয়ানার দাতা সিংহওয়ালা-খানাউরি সীমানাও বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে দিল্লির সীমানাগুলিতেও। শম্ভু সীমানায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের বিরুদ্ধে। পাল্টা পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। লাঠিচার্জও করা হয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার ‘ভারত বন্‌ধ’-এর ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবে রেল অবরোধ করা হয়।

কৃষকেরা প্রথম হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া বন্ধ না করলে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না তাঁরা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘‘কৃষকদের উপকার হবে এমন প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে সরকার।’’ রবিবার বৈঠকে বসার আগে এ বার নিজেদের দাবির কথা জানিয়ে দিলেন কৃষকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement