পুলিশের চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে সানি লিওনির ছবি! — ফাইল চিত্র।
পুলিশ হতে চেয়ে এবার আবেদন করলেন সানি লিওনি! পুলিশের চাকরি নিয়োগের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে তাঁর ছবি-সহ নাম জ্বলজ্বল করছে। এই অ্যাডমিট কার্ডের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আসল না নকল, তা নিয়েও তর্ক চলছে রীতিমতো।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় বসার জন্যই নাকি আবেদন করেছেন সানি! সংশ্লিষ্ট অ্যাডমিট কার্ডে উল্লেখ ছিল পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম। কনৌজের তিরওয়ার শ্রীমতী সোনশ্রী মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা ছিল সানির। যদিও শেষ পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ডের ‘মালিক’ পরীক্ষা দিতে আসেননি বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
কী ভাবে এই অ্যাডমিট কার্ড তৈরি হল, কেই বা ‘সানি লিওনি’-র নামে আবেদন করেছিলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট অ্যাডমিট কার্ডে যে মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে, সেটা উত্তরপ্রদেশের মাহোবর এলাকার এক বাসিন্দার। পাশাপাশি যে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ভরা হয়েছে, তাতে মুম্বইয়ের ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, কেউ ভুয়ো নাম, ঠিকানা, ছবি দিয়ে পুলিশের চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন। পুরো বিষয়টিই ‘ইচ্ছাকৃত’ করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, অ্যাডমিট কার্ডটি পুরোই ভুয়ো। উল্লেখিত মোবাইল নম্বরের গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে যে তিনি কখনও পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেননি। বিষয়টি নজরে আসার পরেই তাঁর আধার কার্ড নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কনৌজ থানার সাইবার সেল ঘটনার তদন্ত করছে। ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ভুয়ো নাম-পরিচয় দিয়ে প্রার্থী হিসাবে নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করার ঘটনা নতুন নয়। গত দিন কয়েক ধরে এমন অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। গোটা উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে এই অপরাধের কারণে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রীর নাম, ছবি ব্যবহার করার ঘটনা এ বার প্রথম ঘটল। অভিযুক্তকে খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে।
অতীতেও সানি লিওনির নাম এবং ছবি ব্যবহার করে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২২ সালে কর্নাটকের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এক মহিলা সানির নাম এবং ছবি ব্যবহার করে আবেদন করেছিলেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজে বার করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। যদিও ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারেন ওই মহিলার পরিচিত এক জন ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।