ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে চলেছে কৃষকরা। চলছে টিয়ার গ্যাস। ছবি: পিটিআই
অপ্রতিরোধ্য ট্র্যাক্টর মিছিল। সিঙ্ঘু সীমানার পর এ বার গাজিপুর ও টিকরি সীমানাতেও ব্যারিকেড ভাঙলেন কৃষকরা। পুলিশের বাধা ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষকদের মিছিল। নিয়ন্ত্রণ তো দূর অস্ত, সামান্য বাধাও তৈরি করতে পারছে না পুলিশ। সময়ের অনেক আগেই বাধা টপকে এগিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
খবর পাওয়া গিয়েছে, গাজিপুর সীমানায় ব্যারিকেডের সামনে আসার পরেই পুলিশের ঘোড়সওয়ার বাহিনীর সঙ্গে কৃষকদের সামান্য ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। তারপরেই ভেঙে পড়ে ব্যারিকেড। উত্তরপূর্ব দিল্লিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিশকে। তবে মিছিলের গতি রুদ্ধ করা যায়নি। সঞ্জয় গাঁধী ট্রান্সপোর্ট নগরে কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন তাঁরা। কোথা থেকে, কীভাবে মিছিল আসছে, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কিন্তু কতক্ষণ এই ভিড় সামলানো যাবে, প্রশ্ন উঠছে তাই নিয়ে।
মঙ্গলবার সকালে নিয়ম মতো রাজপথে শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। সেখানে কৃষক আন্দোলনের আঁচ না পড়লেও অদূরে দিল্লির সীমানায় তুলকালাম শুরু হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। অনুষ্ঠান যখন মাঝপথে, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ খবর পাওয়া যায়, দিল্লির সঞ্জয় গাঁধী ট্রান্সপোর্ট নগরে পৌঁছে গিয়েছে কৃষকদের একটি মিছিল। কৃষকদের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে এখানেই কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। সেই মিছিল এগনোর কথা রয়েছে শাহবাদ, দারওয়ালা, বাওয়ানা দিয়ে।
দিল্লি পুলিশের থেকে তিনটি পথে মিছিল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার পরেও কেন ব্যারিকেড ভাঙছেন কৃষকরা? প্রশ্নের উত্তরে কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সতনাম সিংহ জানিয়েছে, দিল্লির রিং রোডের পথে এগতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশের নির্দেশিত পথে মিছিল নিয়ে যেতে কখনই রাজি হননি কৃষকরা। ৪৫ মিনিট এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপর মিছিল নিজেদের পথেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’’
টিকরি সীমানা থেকে যে মিছিল এসেছে, সেটি যাওয়ার কথা ছিল নজফগড়ের দিকে। কিন্তু মাঝপথেই কৃষকরা বলেন, মধ্য দিল্লির পথে তাঁরা যাবেন। পুলিশ অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পড়েছে তিকরি সীমানা থেকে আসা কৃষকদের মিছিল।