ছবি: পিটিআই।
রাহুল গাঁধীর ‘খেতি বাঁচাও’ আন্দোলনে পঞ্জাবে ট্র্যাক্টর র্যালির দ্বিতীয় দিনেই কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। র্যালির মাঝে পঞ্জাবের মোগাতে প্রাক্তন মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিংহ সিধু আজ পঞ্জাবের কংগ্রেস শাসিত সরকারকেই অস্বস্তিতে ফেলে প্রশ্ন তুলেছেন, হিমাচল যদি আপেলের এমএসপি দিতে পারে, তা হলে পঞ্জাব কেন নিজে এমএসপি দিতে পারে না।
সিধুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহর বিরোধ সুপরিচিত। কিন্তু রাহুলের সভাতেই তা প্রকাশ্যে চলে অআসায় রাজ্যের নেতারা অস্বস্তিতে পড়েছেন। আবার রাহুলের র্যালিতে ট্র্যাক্টরের ভিড় হলেও জনসভায় ভিড় হচ্ছে না— এমন সমালোচনাও শুরু হয়েছে।
রাহুলের জন্য ট্র্যাক্টরের আসনে কুশন লাগানো ছিল। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তাঁকে ‘ভিআইপি চাষি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর মন্তব্য, সোফা-ওয়ালা ট্র্যাক্টরে চেপে প্রতিবাদ হয় না, ‘প্রতিবাদ পর্যটন’ হয়।
রাহুল অবশ্য এ দিনও কৃষি আইন নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এমএসপি, রেশন ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে। কিন্তু তা মজবুত করার বদলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যবস্থার উন্নতির বদলে তা ধ্বংস করছেন। তিনি চাষিদের গলা কাটছেন। যে ভাবে আগে ছোট ব্যবসায়ীদের শেষ করেছিলেন।’’ ক্যাপ্টেন তাঁকে বলেন, ‘‘আমি রাহুলজিকে অনুরোধ করছি, উনি যখন প্রধানমন্ত্রী হবেন, তখন যেন এই কৃষি আইন খারিজ করে দেন।’’ পঞ্জাবে দু’দিনের প্রতিবাদের পরে মঙ্গলবার হরিয়ানায় ঢুকবেন রাহুল। তবে হরিয়ানায় দু’দিনের বদলে এক দিনই থাকবেন বলে রাজ্যের কংগ্রেস সভানেত্রী কুমারী শৈলজা জানিয়েছেন।