চন্দ্রভাগা নদীতে ডুবে গিয়েছিল আস্ত গাড়ি। প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীরের চন্দ্রভাগা নদীতে ডুবে গিয়েছিল আস্ত গাড়ি। কিন্তু সে গাড়িতে কোনও চালক বা সওয়ারি পাওয়া যায়নি। বরং গাড়ির মালিককে পাওয়া গিয়েছে হরিয়ানার গ্রাম থেকে। এমনই এক রহস্যময় দুর্ঘটনার নিষ্পত্তি করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
কাশ্মীরের ডোডা জেলার ঘটনা। সেখানকার পুলিশ গত ২০ ডিসেম্বর চন্দ্রভাগা নদীতে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার খবর পায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা উদ্ধার করে গাড়িটিকে। তবে তার ভিতরে কোনও চালক বা সওয়ারিকে পাওয়া যায়নি। নদী থেকে কোনও মৃতদেহও উদ্ধার হয়নি। কী ভাবে ওই গাড়িটি নদীতে গিয়ে পড়েছিল, কে বা কারা এর নেপথ্যে রয়েছে, এমন দুর্ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যই বা কী, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
গাড়িটি থেকে একটি ভাঙা নম্বর প্লেট এবং দু’টি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। তা থেকে পুলিশ জানতে পারে গাড়িটির মালিকের নাম মনজিৎ সিংহ। তিনি, তাঁর স্ত্রী সোনিয়া দেবী এবং তাঁদের ৬ বছর বয়সি শিশুকন্যা ২০ ডিসেম্বর ওই গাড়িতে ছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। তার পর তাঁদের কী হল, তাঁরা কোথায় গেলেন, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে। মৃত অথবা জীবিত, কোনও অবস্থাতেই তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ আরও জানতে পারে, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি ঋণ নিয়েছিলেন মনজিৎ। কিন্তু তাঁর ব্যবসায় লাভ হয়নি। আর্থিক পরিস্থিতিও ভাল ছিল না। ফলে ঋণের বোঝা এড়াতেই স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে এই দুর্ঘটনার ‘নাটক’ তিনি করেছেন, অনুমান পুলিশের।
সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে হরিয়ানার গ্রাম থেকে মনজিৎদের খোঁজ পায় পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।