ধৃত যুবকের গাফিলতিতে এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। প্রতীকী ছবি।
দ্বাদশ শ্রেণির পর পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ফেলেছিলেন। সেই যুবকই কিনা হাসপাতাল খুলে ডাক্তারি করছিলেন! ওই হাসপাতালে এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে এমন তথ্যই হাতে পেয়েছে পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয়েছে ওই হাসপাতাল। গ্রেফতার করা হয়েছে ভুয়ো ডাক্তারকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে।
গত মঙ্গলবার ‘সত্যম হাসপাতালে’ মৃত্যু হয় এক অন্তঃসত্ত্বার। চিকিৎসায় গাফিলতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। ওই হাসপাতালের ম্যানেজার রঞ্জিত নিশাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার স্বামী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, বেআইনি ভাবে চালানো হচ্ছিল ওই হাসপাতাল। রঞ্জিত ভুয়ো ডাক্তার হিসাবে চিকিৎসা করতেন। রবিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ওই হাসপাতালে ১০টি শয্যা রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, রঞ্জিত দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ওই হাসপাতালটির নথিভুক্তিকরণের জন্য যে সব চিকিৎসকের শংসাপত্র ব্যবহার করেছেন, তাঁরা কখনই ওই হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখেননি। শুধু তাই নয়, ডাক্তারির কোনও ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও রোগীদের দেখতেন রঞ্জিত। তাঁর গাফিলতিতেই ওই অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন এসএসপি গৌরব গ্রোভার।
তদন্তে নেমে পুলিশ এ-ও জানতে পেরেছেন যে, অতীতে আলাদা নাম ব্যবহার করে একই হাসপাতাল চালিয়েছেন। এর আগে, ওই হাসপাতাল বন্ধ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু পরে নাম বদলে আবার তা চালু করেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসএসপি।