(বাঁ দিকে) স্বরা ভাস্কর এবং ফাহাদ আহমেদ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের স্বামী ফাহাদ আহমেদ। তিনি অনুশক্তিনগর থেকে এনসিপি (শরদ গোষ্ঠী)-র প্রার্থী ছিলেন। এনসিপি (অজিত গোষ্ঠী)-র প্রার্থী সানা মালিকের কাছে ৩৩৭৮ ভোটে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। ভোটে হারার পরই কমিশনকে ‘দুষতে’ শুরু করেছেন ফাহাদ। ইভিএমে সমস্যার কারণে তাঁকে হারতে হয়েছে বলে অভিযোগ স্বরার স্বামীর। তাঁর দাবি, ইভিএমের ‘কন্ট্রোল ইউনিট’-এ গোলমাল হয়েছে। তাই শেষ চার রাউন্ডের ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অনুশক্তিনগরে মোট ১৯ রাউন্ড গণনা হয়েছে। শুরু থেকেই ফাহাদ এবং সানার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলেছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ রাউন্ডে সানার থেকে পিছিয়ে ছিলেন ফাহাদ। এর পর টানা ১৭ রাউন্ড পর্যন্তও এগিয়ে থাকেন শরদ গোষ্ঠীর প্রার্থী। কিন্তু প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া রাউন্ডওয়া়ড়ি হিসাবে ১৮ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তথ্য নেই। তবে জয়ী ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে সানাকে।
ফাহাদের বক্তব্য, ১৬ নম্বর রাউন্ড পর্যন্ত তিনি ধারাবাহিক ভাবে এগিয়ে ছিলেন। এর পরে যে ইভিএমগুলি গণনা হয়েছিল, তাতে ৯৯ শতাংশ চার্জ ছিল। ওই গণনাগুলির সময়েই অজিত গোষ্ঠীর প্রার্থী এগিয়ে যান। এ ক্ষেত্রে কোনও ‘কারচুপি’ হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি। ১৬ থেকে ১৯ রাউন্ড পর্যন্ত পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যদিও রাউন্ড ভিত্তিক হিসাব অনুসারে ১৬ নম্বর রাউন্ডের আগেও বেশ কয়েকটি রাউন্ডে ফাহাদকে পিছনে ফেলতে শুরু করেছিলেন সানা। ১০ এবং ১১ রাউন্ডে সানার প্রাপ্ত ভোট বেশি ছিল। যদিও মোট প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে তখনও এগিয়েই ছিলেন ফাহাদ।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন স্বরাও। ধারাবাহিক ভাবে এগিয়ে থাকার পর কী ভাবে ফাহাদ শেষের কয়েকটি রাউন্ডে পিছিয়ে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাঁরও। ভোটগ্রহণের এত দিন পরেও কী ভাবে ইভিএমে ৯৯ শতাংশ চার্জ থাকে? ঘটনাচক্রে সেই ইভিএমগুলির থেকেই কী ভাবে ফাহাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এগিয়ে গিয়ে জিতে যান? তা নিয়ে সংশয় স্বরার। অভিনেত্রী এবং তাঁর স্বামী উভয়েই এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যদিও কমিশনের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।