বিন্দু আম্মিনির উপরে পেপার স্প্রে নিয়ে হামলা চালায় শ্রীনাথ পদ্মনাভন নামে এক কট্টরপন্থী।—ছবি পিটিআই।
শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে গত বছর ইতিহাস গড়েছিলেন বিন্দু আম্মিনি। সে-বার কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের নজর এড়াতে পারলেও এ বার হামলা থেকে বাঁচতে পারলেন না তিনি। তাঁর উপরে পেপার স্প্রে (মরিচগুঁড়ো) নিয়ে হামলা চালায় শ্রীনাথ পদ্মনাভন নামে এক কট্টরপন্থী। আজ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সমাজকর্মী তৃপ্তি দেশাই জানিয়েছেন, শবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা তিনি বাতিল করেছেন।
শবরীমালা মন্দিরে প্রার্থনার জন্য তৃপ্তি-সহ কয়েক জন সমাজকর্মী কেরলে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিন্দু। পরিকল্পনা ছিল, আজ, সংবিধান দিবসে শবরীমালা মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করবেন। নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে কোচিতে পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন বিন্দুরা। অফিসের বাইরে তখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন হিন্দুত্ববাদী এবং বিজেপির সমর্থকেরা। সেই অফিসের বাইরে বেরোনো মাত্রই বিন্দুর উপরে মরিচগুঁড়ো নিয়ে চড়াও হয় পদ্মনাভন। তাঁর মুখে সেই গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওযা হয়। ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিন্দুর আইনজীবী জানিয়েছেন, মরিচ-হামলার পরে বিন্দুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কেরল সরকার অবশ্য আজ জানিয়েছে, তৃপ্তিদের নিরাপত্তা দেবে না। বিন্দুর উপরে হামলার ঘটনার নিন্দা করলেও কেরল সরকার জানিয়েছে, শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের জন্য শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে অনুমতিপত্র না-আনলে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি কোনও মহিলাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে না। রাজ্যের মন্ত্রী সুরেন্দ্র বলেন, ‘‘সরকার মনে করে, তৃপ্তি দেশাইয়ের শবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। আরএসএস, বিজেপির শক্তি ঘাঁটি পুণে থেকে তিনি এসেছেন।’’ তৃপ্তি প্রথমে বলেছিলেন, ‘‘শবরীমালা মন্দিরে প্রার্থনা না-করে কেরল ছাড়ব না।’’ পরে অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘কোচি পুলিশ কমিশনারেটে পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। ওখানে নিরাপদ নই। ফিরে যাচ্ছি। তবে এই লড়াই চলবে।’’