এক বেসরকারি ডাক্তারি কলেজের ৭৮ জন পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে। কলেজের ডিন সঞ্জয় দীক্ষিত সংবাদ সংস্থাকে জানান, বাইরে থেকে আসা পরীক্ষকদের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একজনকে দেখে সন্দেহ হয়।
প্রতীকী চিত্র।
নকল করার অভিনব পদ্ধতি। এমনকী যার জন্য অস্ত্রোপচারও করতে হয় পড়ুয়াকে!
নকল করার অভিযোগে এক ডাক্তারি কলেজের পরীক্ষার্থী ধরা পড়ে গেলেন পরীক্ষকের কাছে। নকল করার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল তাঁকে। অস্ত্রোপচার করিয়ে কানের মধ্যে ব্লুটুথ হেডফোনও বসিয়েছিলেন।
কলেজে ভর্তির পর থেকে গত ১১ বছর ধরে চেষ্টা চলছিল শেষ পরীক্ষায় উতরে যাওয়ার। ব্যর্থ হচ্ছিলেন প্রতিবারই। এ বছরই ছিল শেষ সুযোগ, তবুও শেষ রক্ষা হল না। সুযোগ হাতছাড়া হল অল্পের জন্য।
এক বেসরকারি ডাক্তারি কলেজের ৭৮ জন পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে। কলেজের ডিন সঞ্জয় দীক্ষিত সংবাদ সংস্থাকে জানান, বাইরে থেকে আসা পরীক্ষকদের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একজনকে দেখে সন্দেহ হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়, যা ব্লুটুথের মাধ্যমে একটি হেডফোনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করার পরও ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে কোনও হেডফোন উদ্ধার করা যায়নি। বেশ খানিকক্ষণ পর একজন পরীক্ষক ওই পরীক্ষার্থীর কানে দেহের চামড়ার রঙের ব্লুটুথ হেডফোনটি দেখতে পান। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, ওই পরীক্ষার্থী এক ইএনটি বিশেষজ্ঞের সাহায্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কানে হেডফোনটি লাগিয়েছেন।
ওই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে অন্য আরও একজন নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েন। তাঁর কাছ থেকেও ব্লুটুথ ডিভাইস পাওয়া যায়। পরীক্ষকরা সব ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন। একটি অন্তর্বর্তী কমিটিও গঠন করা হয়েছে ঘটনার তদন্ত করার জন্য। তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন যে ওই পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে কি না।
পরীক্ষায় পাস করার জন্য নকল করা বা নানা অসৎ পথে পাস করার ঘটনা প্রায়ই সামনে আসছে। যার অন্যতম কারণ দেশে বাড়তে থাকা বেকারত্বের ফলে চাকরি বা কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সীমিত সংখ্যক আসনের তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। কিন্তু নকল করতে গিয়ে নিজের শরীরে অস্ত্রোপচার করানোর ঘটনা অভিনব।