—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষা করছিলেন পরীক্ষকেরা। বাইরে মোতায়েন ছিলেন পুলিশকর্মী। গেটে বসানো ছিল মেটাল ডিটেক্টর। রবিবার চণ্ডীগড়ের ওই কেন্দ্রে দু’জন নিট পরীক্ষার্থীর রিটেস্ট দিতে আসার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এলেন না তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রবিবার ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর জন্য পুনরায় ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিট-ইউজি নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। দেশের সাতটি পরীক্ষাকেন্দ্রে হয়েছে পরীক্ষা। তার মধ্যে চণ্ডীগড়ের ৪৪ সেক্টরের সেন্ট জোসেফ সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলেও পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। দু’জনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সেখানে। সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও সেখানে আসেননি দুই পরীক্ষার্থী।
চণ্ডীগড়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে বন্ধ দরজা। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার সকালে দেখা যায়, চণ্ডীগড়ের ওই কেন্দ্রের গেটে মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দু’জন। এক পরীক্ষক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর ২টোয়। দুপুর দেড়টায় গেট বন্ধ হয়ে যায়। সব প্রস্তুতি শেষ। আমরা অপেক্ষা করছি। কিন্তু কেউ আসেননি।’’ শেষ পর্যন্ত নিয়ম মেনে পরীক্ষাকেন্দ্রের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সু্প্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছিল, ৫ মে পরীক্ষা চলাকালীন কিছু পরীক্ষার্থীর সময় নষ্ট হয়েছে। তাঁদের দোষে নয়। সেই পরীক্ষার্থীদেরই বাড়তি নম্বর (গ্রেস মার্ক) দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষা আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র তরফে। দেশ জুড়ে বিক্ষোভের পর ওই পরীক্ষার্থীদের বাড়তি নম্বর বাতিল করা হয়। পরিবর্তে নতুন করে নিট পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই পরীক্ষাই ছিল রবিবার।
গত ৫ মে নিট-ইউজি পরীক্ষা হয়। দেশ জুড়ে ৪,৭৫০টি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা হয়েছিল। পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ২৪ লক্ষ পড়ুয়া। ফলপ্রকাশের নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১০ দিন আগে গত ৪ জুন এই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়। দেখা যায়, ৬৭ জন সম্পূর্ণ নম্বর নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। এক নম্বরও তাঁদের কাটা যায়নি। এমনকি, এই ৬৭ জনের মধ্যে অনেকে একই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন বলেও জানা যায়। ফলে প্রশ্ন ওঠে, পরীক্ষার আগেই নির্দিষ্ট কোনও কোনও এলাকায় প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছিল কি না। কেন্দ্রের নির্দেশে এই নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই।