NEET Paper Leak Case

নিট দুর্নীতির জাল বিহারের পর মহারাষ্ট্রেও! দুই স্কুল শিক্ষককে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এটিএসের

এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’জন শিক্ষক জেলা পরিষদ স্কুলে পড়ান। লাতুরে তাঁদের কোচিংও রয়েছে। টানা কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে এটিএস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ১২:২১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিহারের পর ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিটের জাল মহারাষ্ট্রেও! প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে এ বার মহারাষ্ট্রের দুই শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সঞ্জয় তুকারাম যাদব এবং জলিল উমরখান পাঠান নামে দুই শিক্ষককে তুলে নিয়ে গিয়ে জেরা করেছে নান্দেড় অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। তাদের সন্দেহ, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ওই দু’জন।

Advertisement

এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’জন শিক্ষক জেলা পরিষদ স্কুলে পড়ান। লাতুরে তাঁদের কোচিংও রয়েছে। তাঁদের আটক করে টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এটিএস।

নিট দুর্নীতিকাণ্ডে মহারাষ্ট্রের দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ। ছবি: সংগৃহীত।

ডাক্তারির প্রবেশিকা নিট এবং পিএইচডি এবং কলেজে পড়ানোর পরীক্ষা ইউজিসি-নেটের প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা আঙুল তুলেছে মোদী সরকারের দিকে। নিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। শনিবার তাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানিয়েছে, স্বচ্ছ, অবাধ পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ করবে তারা। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করবে। নেট নিয়ে অনিয়মেরও তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযোগ, নেটের প্রশ্ন ডার্কনেটে বিক্রি হয়েছে।

Advertisement

গত ৫ মে নিট ইউজি পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২৪ লক্ষ পড়ুয়া। তার আগের রাতে বিহার পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার জন প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এখন ‘সলভার গোষ্ঠী’-র ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ, এই গোষ্ঠীর সদস্যেরা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পড়ুয়াদের কাছে বিক্রি করতেন। ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীরও জোগান দিতেন। এই ‘ভুয়ো’ পরীক্ষার্থীরা আসল পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতেন।

গত ৪ জুন নিটের পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয়। তার পরেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ জোরালো হয়। এ-ও অভিযোগ ওঠে যে, ১,৫০০ জন পরীক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর (গ্রেস মার্ক) দেওয়া হয়েছে। দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার জন্য ওই বাড়তি নম্বর পেয়েছিলেন তাঁরা। এই পরীক্ষা পরিচালনা করে এনটিএ (ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি)। তাদের এই বাড়তি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু হয় প্রতিবাদ। আদালতে মামলা ওঠে। ওই ১৫০০ জনের বাড়তি নম্বর বাতিল করা হচ্ছে বলে আদালতে জানায় কেন্দ্র। রবিবার তাঁরা আবার পরীক্ষা দিচ্ছেন। সাতটি কেন্দ্রে হচ্ছে পরীক্ষা। পরীক্ষা যাতে মসৃণ ভাবে হয়, তাই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকছেন এনটিএর আধিকারিকেরা।

অন্য দিকে, মেডিক্যালে স্নাতকোত্তর পড়ার প্রবেশিকা নিট পিজি হওয়ার কথা ছিল রবিবার। তা বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, শীঘ্রই পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। গত সপ্তাহে পরীক্ষা হওয়ার পরেও বন্ধ হয়ে যায় ইউজিসি নেট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement