রাম মন্দির। —ফাইল চিত্র।
অযোধ্যার উদ্যাপনের রেশ পৌঁছল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। আমেরিকার ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির শ্রী ভেঙ্কটেশ লোটাস টেম্পলে উদ্যাপনে শামিল আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে ছিলেন শিখ, মুসলিম ও পাকিস্তানি আমেরিকানরাও।
আমেরিকা থেকে ফিজি— আজ উদ্যাপন হয়েছে সর্বত্র। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। বহু মানুষ ‘হিন্দুজ় অব গ্রেটার হিউস্টন’ আয়োজিত একটি উৎসবে শামিল হন। প্রায় আড়াইশো গাড়ি নিয়ে শোভাযাত্রা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু কাউন্সিল অব আমেরিকা’ ও কানাডার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আগামী ২৫ মার্চ থেকে ‘রামমন্দির যাত্রা’র ঘোষণা করেছে। তাতে রাম-সীতা-লক্ষ্মণ ও হনুমানের মূর্তি নিয়ে দু’দেশে ছড়িয়ে থাকা এক হাজারের বেশি মন্দিরে যাওয়া হবে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ধরা হয়েছে।
নেপালের জনকপুর সীতার জন্মস্থান বলে প্রচলিত বিশ্বাস। সেখানকার জানকী মন্দির সেজেছে মাটির প্রদীপ ও ফুলের মালায়। আজ সব মিলেয়ে দেড় লক্ষের বেশি প্রদীপ জ্বালা হয়েছে নেপালে। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় ভারতীয় জনগোষ্ঠীর বহু মানুষ থাকেন। সেখানকার ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবিবার পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ যোগ দেন। ক্যানবেরায় অযোধ্যার অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয়দের সঙ্গে শামিল হন সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত।
শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে লন্ডনের সাউথ হলের রামমন্দির-সহ ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গায়। মরিশাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সরকারি কর্মীদের জন্য এ দিন দু’ঘণ্টার বিশেষ ছুটি ঘোষণা করা হয়। দুবাইয়ে ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন ভারতীয় জনগোষ্ঠী। মেক্সিকোর কেরেতারোয় প্রথম রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে আজ। ফিজিতে ১৮ জানুয়ারি শুরু হওয়া ‘রামলালা উৎসব’ শেষ হয়েছে এ দিনের অনুষ্ঠান দিয়ে।