দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর। ফাইল চিত্র।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র চূড়ান্ত তালিকা ঘিরে বিতর্কের আইনি নিরসনের আগেই অসমের ১৪টি লোকসভা এবং ১২৬টি বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের (ডিলিমিটেশন) কাজ শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে এ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত এই খসড়া তালিকা সম্পর্কে ‘পরামর্শ এবং আপত্তি’র কথা জানানো যাবে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ২০০১ সালের জনসুমারির ভিত্তিতে এই আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে। মোট লোকসভা এবং বিধানসভার আসনের সংখ্যা একই থাকলেও কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। লোকসভার ১৪টি আসনের মধ্যে তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য একটি এবং তফসিলি জনজাতির প্রার্থীদের জন্য দু’টি আসন সংরক্ষিত। বিধানসভার ১২৬টি আসনের মধ্যে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা যথাক্রমে নয় এবং ১৯।
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলগুলির তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার আগে আসন পুনর্বিন্যাস না করতে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং রাইজর দলের অভিযোগ ছিল, বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই কমিশন আসন পুনর্বিন্যাসে তড়িঘড়ি করছে, অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন বরা বলেছিলেন, ‘‘২০১৯ সালে এনআরসির যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বহু নাম বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। আমরা চাই, শীর্ষ আদালতে বিষয়টির নিষ্পত্তির পর আসন পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত হোক।’’ এই পরিস্থিতিতে খসড়া তালিকা ঘিরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম রাজ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান।