ওমানের সমুদ্রে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এক্স।
ওমানের সমুদ্রে তেলের ট্যাঙ্কার ডুবে তলিয়ে গিয়েছিলেন মোট ১৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনই ছিলেন ভারতীয়। বুধবার বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ন’জনকে উদ্ধার করেছে ভারতের নৌসেনা। আট জন ভারতীয় ছাড়াও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক। এখনও পাঁচ ভারতীয়-সহ সাত জনের খোঁজ নেই।
ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তেগকে ওমানের ওই অংশের সমুদ্রে তল্লাশি অভিযান চালানোর কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। এ ছাড়াও নৌসেনাকে এই কাজে সাহায্য করছে পি৮আই নামের বিমান।
ওমানের দুকম বন্দরের কাছে রাস মাদ্রাকার দক্ষিণ-পূর্বের সমুদ্রে তেলের ট্যাঙ্কার ভর্তি জাহাজটি উল্টে যায়। মনে করা হচ্ছে, আবহাওয়াজনিত কারণেই এই দুর্ঘটনা। আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজেও সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। ওই এলাকায় এখনও সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চলছে ঝোড়ো হাওয়া। জাহাজটিতে মোট ১৬ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন ভারতীয় এবং তিন জন শ্রীলঙ্কার নাগরিক।
দুকম বন্দরটি ওমানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল ঘেঁষা। সেখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেলের খনি রয়েছে। রয়েছে একটি বড় তৈল শোধনাগারও। দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এর উপর নির্ভরশীল। ওই তেলের খনি এবং শোধনাগারে ভারত, শ্রীলঙ্কা-সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ থেকে বহু মানুষ কাজ করতে যান। গত ১৫ জুলাই ওমানের উপকূলের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে জাহাজডুবির আপৎকালীন বার্তা আসে। তেলবোঝাই জাহাজটি এডেনের ইয়েমেন বন্দরের দিকে যাচ্ছিল বলে খবর।
ওমানের সমুদ্রে এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, ওমান সরকার এবং উপকূলের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রেখেছে দূতাবাস। ভারতীয় নৌসেনাও ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ১১৭ মিটার দীর্ঘ ট্যাঙ্কারটি ২০০৭ সালে তৈরি হয়েছিল। মূলত তেলের ট্যাঙ্ক বহন করে থাকে এটি। তবে এই জাহাজটি ছোট যাত্রাপথে মাল বহনের ক্ষেত্রেই ব্যবহার হত। আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিকূলতা ছাড়াও জাহাজডুবির নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, উদ্ধারকাজ শেষ হলে তা খতিয়ে দেখা হবে, জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।