গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ফোনে আড়ি পাতা-কাণ্ডে উত্তাল রাজনীতি। বিরোধী নেতা, মন্ত্রী, সাংবাদিক, আইনজীবীদের উপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। পেগাসাস-কাণ্ডে তাঁর বক্তব্য, অযাচিত সুযোগ নিতে ক্ষমতাশালীরাই আড়ি পাতেন।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ইজরায়েলি সংস্থার স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকার ভারতে ৩০০-র বেশি ফোনে আড়ি পাতে বলে অভিযোগ। তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। সোমবার এ নিয়ে মুখ খোলেন স্নোডেনও।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে মোদী সরকারকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন টুইটারে পোস্ট করেন স্নোডেন, যাতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। স্নোডেন লেখেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে অযাচিত সুযোগ নিতেই এই আড়ি পাতা। এতে দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর আঘাত হানা হয়েছে। এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তি দিতে হবে।’
প্রায় এক দশক আগে আমেরিকার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নজরদারি চালানোর অভিযোগ আনেন স্নোডেন। আমেরিকার নাগরিক স্নোডেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুপ্তচর সংস্থা ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি সার্ভেইল্যান্স (এনএসএ)-এ কর্মরত ছিলেন। সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র হয়েও কাজ করতেন স্নোডেন। বিভিন্ন দেশে তাদের নজরদারি সংক্রান্ত গোপন নথি ফাঁস করে দেন স্নোডেন।
তবে এনএসএ এবং সিআইএ-র টনক নড়ার আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্নোডেন। সেই সময় আশ্রয় চেয়ে একাধিক দেশের কাছে আর্জি জানান স্নোডেন। ভারতেও আশ্রয় চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়। শেষ মেশ রাশিয়ায় আশ্রয় পান স্নোডেন। প্রথমে এক বছরের জন্য স্নোডেনকে আশ্রয় দেয় রাশিয়া। তবে এখনও সেখানেই রয়েছেন তিনি। ২০২০-র অক্টোবরে সেখানে তাঁকে স্থায়ী বসবাসের বন্দোবস্তও করে দেয় রাশিয়ার সরকার। বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কাজে যুক্ত ফ্রিডম অব দ্য প্রেস স্পিচ সংস্থার ডিরেক্টর তিনি।