রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ সাংসদদের। ছবি: রাজ্যসভা টিভি।
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই ফোনে আড়ি পাতা-কাণ্ডে ঝড় উঠেছিল সংসদে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনেও তা নিয়ে উত্তাল রইল রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র। লোকসভা এবং রাজ্যসভা, সংসদের দুই কক্ষেই একজোটে কেন্দ্রকে আক্রমণে নামল কংগ্রেস, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি এবং ডিএমকে। তা নিয়ে লাগাতার হই হট্টগোল এবং স্লোগানের জেরে শেষ মেশ মুলতবি করে দিতে হল অধিবেশন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি রাখা হয়। লোকসভার অধিবেশন মুলতবি রাখা হয় দুপুর ২টো পর্যন্ত।
অধিবেশন শুরু আগে সকালে সংসদে বৈঠক করেন কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি এবং ডিএমকে সাংসদরা। তার পর এক জোটে আড়ি পাতা নিয়ে সরকারকে ঘিরে ধরেন তাঁরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করেন। তবে ব্যাপক হইহট্টগোলের মধ্যেও বিচলিত হতে দেখা যায়নি অধ্যক্ষ্য ওম বিড়লাকে। এর পর কংগ্রেস সাংসদ মানিক্কম ঠাকুর অধিবেশন মুলতবির নোটিস দেন।
দ্বিতীয় দিন অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যসভায় নোটিস দেয় কংগ্রেস, তৃণমূল। আম আদমি পার্টি (আপ) এবং সিপিএম। পূর্ব নির্ধারিত সব কিছু বাতিল করে ইজরায়েলি সংস্থা মারফত বিরোধী রাজনীতিক, সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে আলোচনা দাবি করে তারা। তা না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখান বিরোধী শিবিরের সাংসদরা।
দুপুরে পুনরায় অধিবেশন শুরু হলে, রাজ্যসভায় আড়ি পাতা-কাণ্ডে সরকারের তরফে বিবৃতি দেওয়ার কথা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। রাহুল গাঁধী, প্রশান্ত কিশোরের পাশাপাশি তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করতে মুখিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।