আলমগির আলম। —ফাইল চিত্র
অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) সংক্রান্ত মামলায় ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আলমগির আলমকে তলব করল ইডি। আগামী মঙ্গলবার তাঁকে ইডির রাঁচীতে অবস্থিত সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার সকাল থেকে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীর নানা জায়গায় অভিযান চালান ইডির আধিকারিকেরা। ঝাড়খণ্ডের চম্পই সোরেন সরকারের মন্ত্রী আলমগিরের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের পরিচারকের দু’কামরার ফ্ল্যাটেও অভিযান চালানো হয়। ইডি সূত্রে জানা যায়, দিনের শেষে তল্লাশি চালিয়ে মোট ৩৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তার পরেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন সঞ্জীব এবং তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গির আলম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আলমগিরকে।
ইডি সূত্রেই জানা যায়, গ্রামোন্নয়ন দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রামের বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরুপের মামলা রয়েছে, তার সঙ্গে সঞ্জীবের নাম জড়িয়ে পড়ে। সেই যোগসূত্র ধরেই সোমবার সকালে অভিযান শুরু করে ইডি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বীরেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। নানা রকম প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, এই মামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সঞ্জীবও। তাঁর বাড়ি থেকে নগদ টাকা-সহ একটি পেন ড্রাইভও উদ্ধার করা হয়েছে। ইডির আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও নাকি টাকার লেনদেন চলত সঞ্জীবের।