ইডি-র তদন্তে উঠে এসেছে, স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থাটি ২০১৪ সালে ভারতে তাদের কাজ শুরু করে। ২০১৫ সাল থেকে তারা বিদেশে টাকা পাঠাতে শুরু করে। এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, ‘৫,৫৫১ কোটি টাকা তিনটি বিদেশি সংস্থাকে পাঠিয়েছে তারা। এর মধ্যে ছদ্মনামে একটি সংস্থা শাওমিরই নিজস্ব। রয়্যালটির নামে ওই টাকা পাঠানো হয়েছিল।’
গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ
বেআইনি বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের অভিযোগে স্মার্টফোন সংস্থা শাওমি ইন্ডিয়ার ৫,৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিদেশ মুদ্রা লেনদেন আইনে (ফেমা) তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সংস্থাটি চিনা সংস্থা শাওমি-র মালিকানাধীন।
ইডি-র তদন্তে উঠে এসেছে, স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থাটি ২০১৪ সালে ভারতে তাদের কাজ শুরু করে। ২০১৫ সাল থেকে তারা বিদেশে টাকা পাঠাতে শুরু করে। এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, ‘৫,৫৫১ কোটি টাকা তিনটি বিদেশি সংস্থাকে পাঠিয়েছে তারা। এর মধ্যে ছদ্মনামে একটি সংস্থা শাওমিরই নিজস্ব। রয়্যালটির নামে ওই টাকা পাঠানো হয়েছিল।’
ইডি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আমেরিকার দু’টি সংস্থাকে যে টাকা পাঠানো হয়েছিল তা-ও শাওমি গোষ্ঠীর নিজস্ব সুবিধার জন্য।
শাওমি ইন্ডিয়া ভারতে মোবাইল ব্র্যান্ড ‘এমই’-র পরিবেশক। ভারতীয় উৎপাদকদের থেকে মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে তৈরি সেট বিপণন করে শাওমি।
বিবৃতিতে ইডি-র দাবি, ‘বিভিন্ন ভুয়ো নথি তৈরি করে বিদেশি সংস্থাগুলিকে অর্থ প্রেরণ করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্যও দিয়েছে স্মার্টফোন সংস্থাটি। এমনকি যে সংস্থাগুলিকে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেই সংস্থাগুলি থেকে কোনও পরিষেবাই নেয়নি শাওমি।’