বাঁ দিক থেকে, হেমন্ত সোরেন এবং নিশিকান্ত দুবে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাঁচীতে জমি কেনাবেচায় আর্থিক অনিয়ম ও নথি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সোরেনকে আবার সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই মামলায় এই নিয়ে সপ্তম বার তলব করা হল তাঁকে। এর আগে এই মামলায় ছ’বার ইডির সমন পেয়েও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। গত বছর খনি দুর্নীতি মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন হেমন্ত।
আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন (পিএমএলএ)-এর আওতাধীন মামলায় তাঁর বয়ান রেকর্ড করাতে গত ডিসেম্বরে রাঁচীতে ইডির আঞ্চলিক দফতরে হেমন্তকে ষষ্ঠ বার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু হাজির হননি তিনি। ইডির অভিযোগ, জমির মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে বড় অঙ্কের বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন আইএএস অফিসার ছবি রঞ্জন। তিনি রাজ্যের সমাজকল্যাণ দফতরের অধিকর্তা এবং রাঁচীর ডেপুটি কমিশনার ছিলেন।
এর আগে ইডির পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ‘দমনমূলক পদক্ষেপ’ না করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন হেমন্ত। কিন্তু কয়েক মাস আগে তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ঘটনাচক্রে, এই আবহেই হেমন্ত ঘনিষ্ঠ জেএমএম নেতা সরফরাজ আহমেদ বিধায়ক এবং দলীয় সদস্যপদে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। জল্পনা, ইডির গ্রেফতারি এড়াতেই ‘বিজেপির নির্দেশে’ বাধ্য হয়ে সরফরাজের এই পদক্ষেপ।
এই পরিস্থিতিতে হেমন্তকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেই জল্পনা সোমবার আরও উস্কে দিয়েছেন গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, ‘‘শীঘ্রই হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন। তাঁর স্ত্রী কল্পনা পদে বসবেন।’’ প্রসঙ্গত, নিশিকান্তই তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নিজের সাংসদ ‘লগ-ইন আইডি’ শিল্পপতি দর্শন হীরনন্দানিকে ব্যবহার করতে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তার ভিত্তিতে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করা’র অপরাধে মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছিল।