৬০০ কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিল ইডি। — প্রতীকী চিত্র।
প্রায় ৬০০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় মুম্বই থেকে অন্যতম অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অভিযুক্তের নাম অম্বর দালাল। ‘রিটজ় কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছেন তাঁর। সেটিকে ব্যবহার করেই সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাততেন অভিযুক্ত। প্রথমে মোটা অঙ্কের লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগের কথা বলা হত। তার পরে সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
দালালের বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ জমা পড়েছিল মুম্বই পুলিশের কাছে। প্রায় ১৩০০ জনকে মোটা টাকার লাভের টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তার পর সেই টাকা হাতিয়ে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান দালাল। শুরুতে মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখা এফআইআর দায়ের করে। পরে ইডিও পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু করে। মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখা আগেই গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রতারণার টাকা ব্যবহার করে একাধিক সম্পত্তি কিনেছেন অভিযুক্ত। এই অপরাধ চক্রে আরও বেশ কয়েক জন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রতারণার টাকা দালাল তাঁদের কাছেও পাঠিয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। সন্দেহভাজন এমন বেশ কয়েক জন ইডির নজরে রয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, এই চক্রের সঙ্গে শেয়ার বাজারের একাধিক ব্রোকার (বিনিয়োগে সাহায্যকারী), বিনিয়োগের পরামর্শদাতা জড়িত রয়েছেন। তাঁদের কাজ ছিল সাধারণ মানুষকে ধরে ধরে দালালের কাছে পাঠানো।
এ বছরের জুনে দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। তাতে নগদ টাকা-সহ বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়। তালিকায় রয়েছে ৩৭ কোটি টাকার একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্টও। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের টোপ দিয়ে প্রতারণা বর্তমানে তদন্তকারীদের অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। শেয়ার বাজার সংক্রান্ত সাইবার প্রতারণার ফাঁদে প্রচুর মানুষ টাকা খুইয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, অনলাইনে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের টোপে পা দিয়ে ১৪২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে।