প্রতীকী ছবি।
করোনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলায় পুজো-বাজারের বেসামাল ভিড় যখন রাজ্য প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তখন দিল্লিতে এ বছর দূর্গাপুজো আয়োজনের নিয়মকানুন ঘোষণা করল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার।
ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুজো প্যান্ডেলের ভিতরে বা বাইরে মেলা, খাবারের স্টল, নাগরদোলা, প্রদর্শনী ইত্যাদি রাখা চলবে না ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। উদ্যোক্তাদের পুজো আয়োজনের জন্য চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিতে হবে জেলাশাসকের কাছে। পুজোর জায়গা, সেখানে দূরত্ব বজায় রাখার সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি খতিয়ে দেখে তবে যৌথ ভাবে ওই অনুমতি দেবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ কমিশনার। ফেসকভার কিংবা মাস্ক পরে আসতেই হবে। রাখতে হবে স্যানিটাইজ়ার, থার্মাল স্ক্রিনারও। কোথাও বেশি ভিড় বা বড় জমায়েত চলবে না। কোনও ঘেরা জায়গায় এমনিতে যত জন দাঁড়াতে পারেন, থাকতে পারবেন তার অর্ধেক লোক। তাতেও সর্বোচ্চ সংখ্যা ২০০। প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো জমা দিতে হবে প্রশাসনকে। নিয়ম ভাঙতে দেখলে, ফেরানো হতে পারে অনুমোদন।
করোলবাগ পুজো সমিতির দীপক ভৌমিকের কথায়, “এত দিন নির্দেশিকা না-আসায় মূর্তি বসিয়ে পুজো এ বার করা যাবে না বলেই ধরে নিয়েছিলাম। সাত দশকেরও বেশি পুরনো পুজো যাতে বন্ধ না-থাকে, তাই পরিকল্পনা ছিল ঘট পুজোর। এখন এত কম সময়ে মূর্তি, পুরোহিত, ঢাক থেকে শুরু করে সব কত দূর কী জোগাড় করা যাবে জানি না। তবে অনুমতি পেতে জেলাশাসকের দফতরে আবেদন জমা দিয়েছি। তবে পুজো করলেও, তা হবে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে।” চিত্তরঞ্জন পার্ক কালী মন্দির সোসাইটি থেকে পটপড়গঞ্জের পুজো— সর্বত্র ভিড় এড়ানোর প্রস্তুতি। কোথাও শুধু ঘট পুজো। আবার কোথাও বন্দোবস্ত কেব্ল টিভিতে পুজো দেখা আর মাইকে পুষ্পাঞ্জলির।