—প্রতীকী চিত্র।
সকালের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে তখন হু হু করে ছুটছে বাস। গন্তব্য পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির। পুণ্যার্থীরা রয়েছেন তাতে। আচমকাই বুকে তীব্র যন্ত্রণা। আগাম আভাস পেয়েছিলেন হয়তো যে বড় বিপদ আসতে চলেছে। তাই রাস্তার এক পাশে বাস দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। পর মুহূর্তেই অজ্ঞান। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই সব শেষ। তবে মৃত্যুর আগে ৬০ জন যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন বাস চালক।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে ওড়িশার বালেশ্বরে। জানা গিয়েছে, ৬০ জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশার পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দিরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বাসটি। বালেশ্বর জেলায় প্রবেশ করার কিছু ক্ষণ পরেই বুকে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন চালক শেখ আখতার। কোনও মতে বাসটি দাঁড় করিয়ে দিলেও তার পরেই জ্ঞান হারান তিনি।
তাঁর অবস্থা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাঁদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। আখতারকে উদ্ধার করে নীলগিরি মহকুমা হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অমিত দাস নামে এক যাত্রী জানান, চালক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাস থামিয়ে দেন। রাস্তার একপাশে গাড়িটি থামার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে নিজে না বাঁচলেও ৬০টি প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়ে গিয়েছেন তিনি।