ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে সফল উৎক্ষেপণ ভিএস-এইচওআরএডিএস ক্ষেপণাস্ত্রের। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অতি স্বল্পপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও)। মঙ্গলবার ওড়িশার চাঁদিপুরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র (ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ বা আইটিআর) থেকে ছোড়া এই গোত্রের দু’টি ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র বঙ্গোপসাগরের আকাশে নিখুঁত ভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।
এই সফল পরীক্ষার ফলে ভবিষ্যতে আকাশ-প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত। প্রসঙ্গত, অতি স্বল্পপাল্লার এই ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রকে সামরিক পরিভাষায় বলা হয় ‘ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ (ভিএস-এইচওআরএডিএস) বলা হয়। অত্যন্ত কম উচ্চতায় ওড়া শত্রুপক্ষের বিমান, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম’-এর সাহায্যে চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র এক জন সেনাই বহন করতে এবং ছুড়তে পারেন।
ভিএস-এইচওআরএডিএস ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা তৈরি, নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ডিআরডিওর বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত। সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। যার মধ্যে রয়েছেন, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন ল্যাবরেটরি (ডিআরডিএল), হায়দরাবাদের রিসার্চ সেন্টার ইমারত (আরসিআই) এবং পুণের আর অ্যান্ড ডি ইঞ্জিনিয়ার্সের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সাফল্যের জন্য ডিআরডিও এবং সহযোগী সংস্থাগুলিকে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এর ফলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নতুন মাত্রা পাবে।’’