অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরেই প্রাণ হারালেন তরুণী। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অনেক চেষ্টার পরেও খুলল না অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা। ভিতরেই প্রাণ হারালেন তরুণী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজন কোনও মতে ধরে ফেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সে সময় বিপত্তি। রাজস্থানের ভিলওয়ারা গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তরুণীর পরিবার। চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কর্তৃপক্ষ।
গত রবিবার নিজের বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন জানতে পেরে অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে পাঠান। এএমআরআই গ্রিন হেলথ সার্ভিস থেকে সেই অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করা হয়। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়েই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা খোলা যায়নি। প্রায় ১৫ মিনিট দরজা বন্ধ ছিল। শেষে অ্যাম্বুল্যান্সের জানলা ভেঙে ওই তরুণীকে বার করে নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেনের যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না। চালকেরা হাসপাতালের রাস্তা চিনতেন না বলেও সেখানে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। ভিলওয়ারার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সিপি গোস্বামী জানিয়েছেন, এই অভিযোগের তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই রিপোর্ট দেবে সেই কমিটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ফোন করা হয়েছিল। ১০টা ১৩ মিনিটে অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালে পৌঁছে যায়। তাই চালক পথ চেনেন না এই অভিযোগ ধোপে টেকে না। অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেনও যথেষ্ট ছিল বলে জানা গিয়েছে। ৮ জানুয়ারি সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভরা হয়েছিল।