পিৎজ়া প্রস্তুতকারী সংস্থার ডেলিভারি বয়। —ফাইল চিত্র।
অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে কখনও বিরিয়ানি বা কখনও পিৎজ়া হরদম অর্ডার করে থাকেন অনেকে। কিন্তু এই অনলাইন অর্ডার করে ডেলিভারি বয়ের তরফে প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া খানিকটা অবাক করা ঘটনাই বটে। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে যা পিৎজ়া ডেলিভারি সংস্থার কর্তৃপক্ষ থেকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশেরও নজর কেড়েছে। শুক্রবার সকালে টুইটারে কয়েকটি ছবি এবং টুইট ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ে টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার সকালে কণিষ্কা ধাদিচ নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী এক নামী পিৎজ়া প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে টুইটে অভিযোগ করেন। কণিষ্কার দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইনে পিৎজ়া অর্ডার করেছিলেন তিনি। পরে কবীর নামে এক ডেলিভারি বয় তাঁকে ফোন করে বাড়ির ঠিকানা জানতে চান। নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট ঠিকানায় পিৎজ়া পৌঁছে দেন কবীর। কিন্তু ঘটনায় এখানেই দাঁড়ি পড়েনি। কণিষ্কার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৭ মিনিট নাগাদ তাঁকে সরাসরি মেসেজ করেন কবীর।
মেসেজে কবীর লেখেন, ‘‘আমার নাম কবীর। তোমার বাড়িতে পিৎজ়া পৌঁছে দিতে গিয়েছিলাম। তোমাকে খুব পছন্দ হয়েছে আমার।’’ কবীরের চ্যাটের স্ক্রিনশট নিয়ে টুইটারে পোস্ট করেন কণিষ্কা। যদিও এই স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। কণিষ্কার অভিযোগ, তাঁর নাম এবং ঠিকানা ওই ডেলিভারি বয়ের কাছে রয়েছে। সংস্থার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন কিন্তু তাদের তরফে কবির সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। তা নিয়েও টুইট করে অভিযোগ জানান তিনি।
কণিষ্কা টুইটারে লেখেন, ‘‘অনলাইনে ডেলিভারি বয়ের নাম কবির। দোকানে ওঁর নাম মন্নু। আবার মেল আইডিতে কবিরবাবলু নামে রয়েছেন। সংস্থার তরফে সাহায্য করা হচ্ছে না। আমি যদি কোনও বিপদের মুখে পড়ি, তা হলে তার দায়িত্ব কে নেবে?’’ কণিষ্কার টুইট উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নজর কাড়ে এবং তাঁকে নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাসও দেয় পুলিশ। কণিষ্কা পরে টুইট করে জানান, পিৎজ়া প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবেন তিনি। পরে অবশ্য সেই সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমরা এই ঘটনার জন্য খুব দুঃখিত। যিনি এমন আচরণ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হবে তাঁকে। পুলিশকে সব রকম ভাবে সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।’’