France Clash

পুলিশের গুলিতে তরুণের মৃত্যুতে এখনও জ্বলছে ফ্রান্স! বিক্ষোভ ঠেকাতে ৪৫ হাজার আধাসেনা

মঙ্গলবার প্যারিসে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে এক ১৭ বছরের তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার জেরেই ফ্রান্সের দিকে দিকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

প্যারিস শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ১১:৩৫
Share:

বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সে প্রায় দু’হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: রয়টার্স।

পুলিশের গুলিতে তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্সের রাস্তায় নতুন করে ৪৫ হাজার পুলিশ এবং আধাসেনা মোতায়েন করল মাকরঁ সরকার। যার মধ্যে শুধু প্যারিসেই পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। সেনার পাশাপাশি সরকারের তরফে রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়িও নামানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, সে দেশের চারিদিকে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠা নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। আর তার জন্যই নাকি নতুন করে বাহিনী এবং সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে সারা দেশ জুড়ে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়া হিংসার জেরে ৪৯২টি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় দু’হাজার গাড়ি। এ ছাড়াও প্রায় চার হাজার জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মার্সেই শহরের বৃহত্তম গ্রন্থাগারও। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সেই গ্রন্থাগারের বেশির ভাগ বই। ঘটনাটির ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যাসত্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্যারিসে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে এক ১৭ বছরের তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার জেরেই ফ্রান্সের দিকে দিকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্য-সহ একাধিক অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন শত শত মানুষ। জ্বলছে বহু দোকান, ইমারত। লুট করা হয়েছে বন্দুকের দোকানও। সেই হিংসার ঘটনা শনিবার পঞ্চম দিনে পা রেখেছে। কিন্তু পরিস্থিতিতে কোনও বদল আসেনি।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, প্যারিসে ছড়িয়ে পড়া হিংসার ঘটনায় প্রায় ৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ পুলিশ আধিকারিক। সরকারের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, সে দেশের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ প্রজন্ম। আর তাই নিজের সন্তানদের হিংসা থেকে দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement