মেহুল চোক্সী। ফাইল ছবি।
মেহুল চোক্সীকে দেশে ফেরানোর অনুমতি চাইবে ইডি। এ ব্যাপারে বুধবারই ডমিনিকার আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তৈরি করা হয়ে গিয়েছে হলফনামাও। মঙ্গলবার দুপুরে সেই হলফনামায় কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়ার কথা। তারপরই ডমিনিকার ভারতীয় প্রতিনিধি সেখানকার আদালতে জমা দেবেন ইডির আবেদনটি।
ইডি-র যুক্তি হবে, মেহুল এখনও পুরোপুরি ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতের অপরাধীও। তাই তাকে ভারতে পাঠানোর আবেদন করার অনুমতি দিক ডমিনিকা সরকার।
পলাতক ব্যবসায়ী মেহুলকে ডমিনিকায় আনার নেপথ্যে ডমিনিকার সরকারেরই হাত রয়েছে বলে একটি তথ্য মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে। ডমিনিকার বিরোধীদের দাবি, গত ২৩ মে সরকারের গোপন নির্দেশেই মেহুলকে বন্দি করা হয়েছিল ডমিনিকার বন্দর থেকে। এমনটা করে আসলে মেহুলকে ভারতে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছে ডমিনিকা সরকার। যা কোনওমতেই কাম্য নয়।
গত ২৩ মে একটি নৌকায় ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগা-বারবুডা থেকে ডমিনিকায় আসেন মেহুল। সেখানেই তাঁকে বন্দি করা হয়। অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মেহুল সেই দেশের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতেন। কিন্তু ডমিনিকায় মেহুলের তেমন কোনও সুবিধা থাকছে না।
এরপরই মেহুলকে প্রত্যার্পণের আর্জি জানানোর কথা জানায় ভারত। মঙ্গলবার নাম গোপন রাখার শর্তে ইডির এক সূত্র বলেন, ‘‘গোটা বিচার প্রক্রিয়াটি যাতে একতরফা না চলে, তার জন্যই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। ভারত তার অবস্থান জানাবে ডমিনিকা সরকারকে। তথ্য দিয়ে ইডি বলবে, মেহুল একজন ভারতীয় নাগরিকও এবং ভারতের অপরাধী। তাই তাকে ভারতে ফেরানোর অনুমতি দিক ডমিনিকা সরকার।’’