এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাব করা শঙ্কর মিশ্রকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। ফাইল চিত্র।
বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করায় অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তার পর তাঁকে নগর দায়রা আদালতে তোলা হয়। আদালতের বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশের তরফে অবশ্য শঙ্করকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি ছিল, ওই বিমানে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। তার জন্য অভিযুক্তের থাকা জরুরি। আদালত অবশ্য এই যুক্তিকে মানতে রাজি হয়নি। আদালতের বক্তব্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ নম্বর ধারায় অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে না নিয়েই তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করতে পারে পুলিশ। সরকারি কৌঁসুলি তখন, বিমানের ওই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত কিছু মানুষের জেরা পর্ব বাকি থাকার কথা বলেন। আদালত তখন, তাঁর উদ্দেশে প্রশ্ন করে, অন্যদের জেরা করতে শঙ্করকে কী প্রয়োজন? পরে পুলিশ ৩ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত চাইলেও, আদালত সেই আবেদন নাকচ করে যায়।
যে বৃদ্ধ মহিলার গায়ে শঙ্কর প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই বৃদ্ধার আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, পুলিশ এখনও শঙ্করের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরের কপি তাঁদের দেয়নি। আদালত এ বিষয়ে পুলিশকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আদালতে জানান, আগের বক্তব্য থেকে পরে সরে এসেছেন শঙ্কর। তাই তাঁর নতুন বয়ান রেকর্ড করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আদালত তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, দেশের বিচারব্যবস্থায় এই বয়ানের বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা নেই। এই প্রসঙ্গেই আদালতের মন্তব্য, “জনগণ চাপ দিচ্ছে বলেই আইন বদলে ফেলবেন না। আইন মেনে চলার চেষ্টা করুন।”
অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লি আসা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে মত্ত অবস্থায় ছিলেন আদতে মুম্বইয়ের শঙ্কর। ওই অবস্থায় তিনি হঠাৎই প্যান্টের জিপ খুলতে শুরু করেন। তার পর সকলকে অবাক করে দিয়ে এক বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেন। ওই বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শঙ্করের বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর দায়ের করেছিল।