মৃত স্বামীর রক্ত মুছছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামীর মৃত্যুর হয়েছে। মৃত্যুর পর হাসপাতালের যে শয্যায় তাঁকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে রক্ত মুছে দিতে হয়েছিল তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেই! সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের গাড়াসরই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) । সেই ভিডিয়োর ভিত্তিতেই কড়া পদক্ষেপ করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হল ওই সময় কর্তব্যরত ডাক্তার-সহ দুই নার্সকে।
শনিবারই ঘটনায় কড়া নিন্দা করেন ডিন্ডোরী জেলার মুখ্য চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য আধিকারিক। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই আবহেই এ বার দুই নার্স-সহ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হল।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে, মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত ডিন্ডোরী জেলার লালপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামে গুলি চলে। গুরুতর জখম হন একই পরিবারের চার সদস্য। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। বাকি দু’জনকে গাড়াসরই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও এক জনের। নিহত ওই যুবকের নাম শিবরাজ মারাওয়ি (৪০)। তাঁর স্ত্রী রোশনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও তাঁকে হাসপাতালের শয্যা পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি, সে সময়ের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়ে। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে শুরু হয় সমালোচনা। যদিও প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উড়িয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি ছিল, তাঁর স্ত্রীকে সে সব পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয়নি। ওই কাজের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। বরং মহিলা নিজেই তাঁর স্বামীর শয্যা পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছিলেন, ওই মহিলা বা তাঁর পরিবারের তরফেও হাসপাতালের কাছে এমন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। সেই বিবৃতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত ডাক্তার ও নার্সদের সাসপেন্ড করা হল।