Delhi

একাধিক মোবাইল, সিম কার্ড! ছ’বার নাম পাল্টেও ধরা পড়ে গেলেন দিল্লিতে চিকিৎসক-খুনে মূল ‘মাথা’

চলতি বছরের মে মাসে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন দিল্লির বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক যোগেশচন্দ্র পাল (৬৩)। নয়াদিল্লির জঙ্গপুরায় নিজের বাড়িতেই চেয়ারের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৮
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আটটি মোবাইল, ২০টি সিম কার্ড। পরিচয় গোপন করতে ছ’বার নামও পাল্টে ফেলেছিলেন! তাতেও শেষরক্ষা হল না। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়লেন দিল্লিতে চিকিৎসক-খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত।

Advertisement

চলতি বছরের মে মাসে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন দিল্লির বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক যোগেশচন্দ্র পাল (৬৩)। নয়াদিল্লির জঙ্গপুরায় নিজের বাড়িতেই চেয়ারের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে যোগেশকে। চুরি যায় নগদ টাকা ও গয়নাও।

সেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা যায়, চার জন দুষ্কৃতী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর পর অপরাধীদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। একাধিক বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেই ঘটনাতেই পাঁচ মাস পর ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে ধরা পড়লেন খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওরফে বিষ্ণু শাহী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পাঁচ মাসে কমপক্ষে আটটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন বিষ্ণু। ২০ বার সিম কার্ড পরিবর্তন করেছেন। ছ’বার পাল্টেছেন নামপরিচয়ও। সে জন্য একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্রও বানিয়েছিলেন! বিষ্ণু শাহী, শক্তি সাই, সত্য সাই, সূর্ষপ্রকাশ শাহী, গগন আলি এবং কৃষ্ণ শাহী— গত পাঁচ মাসে একাধিক নাম নিয়ে ঘুরেছেন অভিযুক্ত। তদন্তে নেমে বিষ্ণুর পুরনো মোবাইলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেই ফোনের সূত্র ধরেই জানা যায়, হিমাচল প্রদেশের সুকেত উপত্যকায় গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত। গোপন সূত্রে জানা যায়, সেখান থেকে নেপালে পালানোর পরিকল্পনা করেছেন বিষ্ণু। এর পরেই বৃহস্পতির রাতে বিষ্ণুকে ধরতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় পুলিশের অপরাধ দমন শাখার একটি বিশেষ দল। শেষমেশ শনিবার সকালে নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হয়েছেন বিষ্ণু।

পুলিশের অপরাধ দমন শাখার এসি সঞ্জয় সেন শনিবার জানিয়েছেন, আত্মগোপন করতে আটটি মোবাইল ফোন এবং ২০টি সিম কার্ডের সাহায্য নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া গেল না!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement