(বাঁ দিক থেকে) প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং রাজ্যপাল রবি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সুপ্রিম কোর্টকে ‘অমান্য করার’ অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ ভর্ৎসনা করেছিল তাঁকে। শুক্রবারই অবস্থান বদলে দ্রুত শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কার্যকর করলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল এসএন রবি। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ‘সুপারিশ’ মেনে মন্ত্রিপদে শপথবাক্য পাঠ করালেন ডিএমকে বিধায়ক কে পোনমুড়িকে।
সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র মেলার পরে স্ট্যালিন সুপারিশ করলেও ডিএমকে বিধায়ক পোনমুড়িকে চলতি মাসের গোড়ায় মন্ত্রিপদে শপথগ্রহণ করাতে সম্মত হননি রাজ্যপাল রবি। বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে অভিযোগ জানিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত রবির ওই ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। তার পরেই শুক্রবার সকালে চেন্নাইয়ের রাজভবন থেকে পোনমুড়ির শপথের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দুপুরে তিনি শপথ নেন।
গত বছর ডিসেম্বরে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পোনমুড়ি। মাদ্রাজ হাই কোর্ট তাঁকে তিন বছরের জেলের সাজা দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছিল। গিয়েছিল মন্ত্রিত্বও। চলতি মাসে সুপ্রিম কোর্ট সাজার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় বিধায়ক পদ ফিরে পান পোনমুড়ি। এর পরেই তাঁকে ফের মন্ত্রী করার জন্য রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন।
কিন্তু ‘সাংবিধানিক নৈতিকতা’র যুক্তি দেখিয়ে পোনমুড়িকে মন্ত্রিসভায় ফেরত আনার প্রস্তাব খারিজ করে দেন রাজ্যপাল রবি। রাজ্যপালের ওই আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলেছিল, ‘‘আমরা রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে গুরুতর উদ্বিগ্ন। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে অমান্য করছেন। সুপ্রিম কোর্টের সাজা স্থগিত করার পরে তিনি কী ভাবে বলতে পারেন, যে মন্ত্রীকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা সাংবিধানিক নৈতিকতার পরিপন্থী?”
প্রসঙ্গত, পোনমুড়ি এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি ২০০২ সালের। সেই সময় রাজ্যে এডিএমকে-র সরকার ছিল। ‘ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি করাপশন’ (ডিভিএসি)-এর অভিযোগ, ১৯৯৬-২০০১ সালের মধ্যে মন্ত্রী থাকাকালীন পোনমুড়ি প্রচুর বেনামি সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল।