তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবির বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় অভিযুক্ত ডিএমকে-র নেতা (বাঁ-দিকে) শিবাজি কৃষ্ণমূর্তি। —ফাইল চিত্র।
তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবির বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন ডিএমকে-র নেতা শিবাজি কৃষ্ণমূর্তি। শুক্রবার এই অভিযোগে পুলিশে নালিশ ঠুকল রাজ্যপালের অফিস। শিবাজির মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা।
শিবাজির বিরুদ্ধে চেন্নাই সিটি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন রাজ্যপালের ডেপুটি সেক্রেটারি প্রসন্ন রামস্বামী। অভিযোগপত্রে তাঁর দাবি, শিবাজির বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করছেন শিবাজি। ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
শিবাজির দাবি, চলতি সপ্তাহে বিধানসভায় নিজের ভাষণে দ্রাবিড়ীয় মনীষীদের উদাহরণ বাদ রেখেছেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে ওই ভিডিয়োয় শিবাজি বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘রাজ্যপালকে বকাঝকা করতে নিষেধ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি (রাজ্যপাল) বক্তৃতা ঠিক করে পড়লে আমি তাঁর পায়ে ফুল রেখে হাতজোড় করে ধন্যবাদ জানাতাম।’’ এর পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন শিবাজি। রাজ্যপালের নাম না করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আপনি সংবিধান মোতাবেক শপথ গ্রহণ করেছিলেন। সেটা আমাদের পূর্বসূরি অম্বেডকরের লেখা, তাই তো? আপনি যদি তাঁর (অম্বেডকরের) নাম বলতে অস্বীকার করেন, তা হলে কাশ্মীরে চলে যান। (তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে) খুন করতে আমরাই কোনও জঙ্গিকে পাঠাব। যাতে তাঁকে গুলি করে মারা হয়।’’
শিবাজির ‘কুকথার’ বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তামিলনাড়ুর বিরোধী দল এডিএমকে। দলের নেতা কোবাই সত্যন বলেছেন, ‘‘শিবাজি যে ভাষায় কথা বলেছেন, তার নিন্দা করি। তবে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে বা তামিল মানুষদের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। এতেই বোঝা যায়, মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের প্রতি ডিএমকের নেতাদের কত শ্রদ্ধা রয়েছে। আমরা এ নিয়ে যথাযথ মঞ্চে যাব। তবে স্ট্যালিনের তরফে এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপের আশা করবেন না!’’ অন্য দিকে, অবিলম্বে শিবাজির গ্রেফতারির দাবি তুলেছে রাজ্যের বিজেপি সহসভাপতি নারায়ণন ত্রিপাঠী। অভিনেত্রী তথা তামিলনাড়ুর বিজেপি নেত্রী খুসবু সুন্দরের দাবি, ডিএমকের সরকারে এটাই তামিলনাড়ুর নয়া সংস্কৃতি। মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তাঁর টুইট, ‘‘আমি একটুও অবাক হইনি। মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনে আমলে এটাই নতুন সংস্কৃতি।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, শিবাজির বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর' ভাষণ এবং'হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ ধারা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।