প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (এলএসি)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র কাজ শেষ করেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। বুধবার সেনার তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। দীপাবলির শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে বৃহস্পতিবার এলএসিতে দুই সেনার মিষ্টি বিনিময় হতে পারে বলেও সেনা সূত্রের খবর।
গত ২১ অক্টোবর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছিলেন, পূর্ব লাদাখের এলএসিতে টহলদারির সীমানা নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা ২০২০-র মে মাসের আগেকার অবস্থানে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় কাজ়ানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা।
এর পর চিনা বিদেশ দফতরও লাদাখ সীমান্তে বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা ঘোষণা করে। তার পরেই ডেপসাং ও ডেমচক থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনাছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে বুধবার সেনা-সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রকাশিত রিপোর্টে উত্তর-পূর্ব লাদাখের ডেপসাং উপত্যকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব লাদাখের ডেমচকে ডিসএনগেজমেন্টের কথা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানানো হলেও প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরের বিতর্কিত ফিঙ্গার এরিয়া সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র এপ্রিলে প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ফিঙ্গার এরিয়া-৮ থেকে অনুপ্রবেশ করে চিনা ফৌজ। চলে আসে ফিঙ্গার এরিয়া-৪-এর কাছে। জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে নতুন করে দ্বিপাক্ষিক শান্তি আলোচনা শুরু হয়। কয়েক দফায় আলোচনার পরে ফেব্রুয়ারিতে দু’পক্ষের সেনাই মুখোমুখি অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে যায়। কিন্তু অতীতে ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার এরিয়া-৮ পর্যন্ত টহল দিলেও সমঝোতা অনুযায়ী তা ফিঙ্গার এরিয়া-৪ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। নতুন সমঝোতায় ভারতীয় সেনা কত দূর পর্যন্ত টহলদারি করতে পারবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।