Rahul Gandhi

বরুণের সঙ্গে আদর্শের ফারাক, বোঝালেন রাহুল

বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পরে ইন্দিরা গান্ধী যে ভাবে রাজীবকে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে তুলে আনেন, তাতে রাজীব-সনিয়ার সঙ্গে মেনকার দূরত্ব বাড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৯
Share:

রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।

দুই ভাইয়ের দেখা হতেই পারে। জড়িয়েও ধরতে পারেন। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে বরুণ গান্ধী যে মতাদর্শ মেনে নিয়েছিলেন, তা কোনও ভাবেই তিনি মেনে নিতে পারবেন না বলে আজ রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিলেন। রাহুলের বক্তব্য, ‘‘এটা অসম্ভব।’’ তাঁর ও বরুণের মধ্যে বিদ্বেষ না থাকলেও পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যেও মতাদর্শগত ফারাক বাধার কারণ বলে রাহুল স্পষ্ট করেছেন। সঞ্জয়-মেনকা গান্ধীর পুত্র বরুণ গান্ধী যে ভাবে বেশ কিছু দিন ধরেই মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, তাতে তিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। আজ বরুণের গ্রহণ করা মতাদর্শ তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব বলে জানিয়ে রাহুল সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হল।

Advertisement

রাহুল আজ ভারত জোড়ো যাত্রার ফাঁকে পঞ্জাবে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমার মতাদর্শ আর ওঁর মতাদর্শ মেলে না। আমি আরএসএসের দফতরে কখনও যেতে পারব না। তার আগে আমার গলা কেটে ফেলতে হবে। বরুণ এক সময় যে মতাদর্শ আঁকড়ে ধরেছিল, হয়তো এখনও আঁকড়ে রয়েছে, আমি সেই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারি না। আমরা অবশ্যই ভালবাসার সঙ্গে দেখা করতে পারি, জড়িয়ে ধরতে পারি। কিন্তু ওই মতাদর্শটা মেনে নিতে পারি না।’’

ইতিহাস বলে, বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পরে ইন্দিরা গান্ধী যে ভাবে রাজীবকে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে তুলে আনেন, তাতে রাজীব-সনিয়ার সঙ্গে মেনকার দূরত্ব বাড়ে। যার পরিণতিতে এক সময় মেনকা ছেলেকে নিয়ে পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে যান। এর পরে মেনকা প্রথমে বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহের জনতা দলে যোগ দেন। তার পরে বিজেপিতে। ভাসুর রাজীবের বিরুদ্ধে অমেঠীতে প্রার্থী হয়ে ভোটেও লড়েছেন মেনকা। এখন মেনকা, বরুণ দু’জনেই বিজেপির সাংসদ। কিন্তু দু’জনেই দলে কোণঠাসা। বরুণ নিয়মিত মোদী সরকারের নীতির সমালোচনা করছেন। কিন্তু মেনকা নীরব। তবে দু’জনেই ফের সুলতানপুর ও পিলিভিট থেকে আগামী লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Advertisement

এর আগে মেনকা-বরুণ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বরুণ সম্প্রতি পিলিভিটের অখিলেশ যাদবেরও ঢালাও প্রশংসা করেন। মুলায়ম সিংহ যাদবের মৃত্যুর পরে বরুণকে জড়িয়ে ধরে অখিলেশকে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। বরুণের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এর আগেও রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর রাহুল বলছিলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমাদের কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে প্রশ্ন করতে হবে।” বরুণ তাঁর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রা-য় যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে রাহুলের উত্তর ছিল, ‘‘ওঁর ওখানে সমস্যা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement