(বাঁ দিক থেকে) দেবেন্দ্র ফডণবীস, একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ‘মহাজুটি’র দাপুটে জয়ের পর গত ৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন শিবসেনা (শিন্ডে) প্রধান তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং এনসিপি (অজিত) প্রধান অজিত পওয়ার। সেই শপথগ্রহণের ১০ দিন পরে রবিবার মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন শাসকজোটের মোট ৩৯ জন বিধায়ক। এই ৩৯ জনের মধ্যে ১৯ জনই বিজেপি বিধায়ক। ফডণবীস মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে শিবসেনা (শিন্ডে)-র ১১ জন এবং এনসিপি (অজিত)-র ন’জন বিধায়কের।
তবে এখনও পর্যন্ত দফতর বণ্টন হয়নি। তাই কোন বিধায়কের হাতে, আরও স্পষ্ট করে বললে কোন দলের হাতে কোন গুরুত্বপূর্ণ দফতর থাকছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার রাতেই কার হাতে কোন দফতর থাকছে, সেই ঘোষণা করা হতে পারে।
মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা হতে পারে ৪৩। ফডণবীস, শিন্ডে এবং অজিতকে ধরলে রবিবার পর্যন্ত মোট ৪২ জন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। যা থেকে মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আর কোনও সুযোগ নেই।
রবিবার মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা পঙ্কজা মুন্ডে, গিরীশ মহাজন, চন্দ্রকান্ত পাটিল, রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিল প্রমুখেরা। বিজেপির তরফে প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিন জন। শিবসেনার দু’জন এবং এনসিপি-র এক জন প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। শিবসেনা থেকে মন্ত্রিসভায় যাঁরা ঠাঁই পেলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গুলাবরাও পাটিল, সঞ্জয় রাঠৌড়, উদয় সামন্ত, সঞ্জয় শিরসত। এনসিপির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হাসান মুসরিফ, ধনঞ্জয় মুন্ডে, অদিতি ততকারে, নরহরি জিরওয়াল।
রবিবার মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। নাগপুরে রাজভবনে হওয়া এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফডণবীস এবং তাঁর দুই ‘ডেপুটি’ শিন্ডে এবং অজিত।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে মোটের উপর গত মন্ত্রিসভায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরই ফের ফেরানো হচ্ছে। তবে গত মন্ত্রিসভায় থাকা শিবসেনার দীপক কেসরকার, তানাজি সবন্ত এবং আবদুল সাত্তার রবিবার শপথগ্রহণ করেননি। ‘মহাজুটি’-র একটি সূত্রের দাবি, গত মন্ত্রিসভায় যে দফতর যে দলের হাতে ছিল, এ বারেও তাই থাকতে চলেছে। তবে শিন্ডেসেনা অতিরিক্ত একটি দফতর পেতে পারে বলে ওই সূত্রটির দাবি। সূত্রটির আরও দাবি, রাজস্ব, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, সেচের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিজেদের হাতে রাখতে পারে বিজেপি। এনসিপি পেতে পারে অর্থ, সমবায়, কৃষি, ক্রীড়ার মতো দফতর। গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র দফতর শরিক শিন্ডেসেনাকে বিজেপি ছাড়ে কি না, তা-ই এখন দেখার।