অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে চতুর্থ তথা শেষ দফার প্রার্থিতালিকাও প্রকাশ করে দিল আম আদমি পার্টি (আপ)। রবিবার আপের তরফে ৩৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় দলের প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা ছাড়াও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ, গোপাল রাই, সত্যেন্দ্র জৈন, দুর্গেশ পাঠকের নাম রয়েছে।
এ বারেও নয়াদিল্লি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কেজরীওয়াল। আতিশী লড়বেন কালকাজি কেন্দ্র থেকে। সৌরভ ভরদ্বাজ গ্রেটার কৈলাস, গোপাল রাই বাবরপুর থেকে লড়বেন। এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না-হলেও আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির ৭০টি কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।
লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি কেন্দ্রেই কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে জোট হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে অবশ্য কেজরীওয়াল স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তাঁর দল একাই লড়বে। শুক্রবারই প্রথম দফায় ২১ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। নয়াদিল্লি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে দিল্লির প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপকে। এক সময় নয়াদিল্লি কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শীলা। ২০১৩ সালে এই আসনেই কেজরীওয়ালের কাছে পরাজিত হন তিনি। আপের কাছে হেরে ১৫ বছর পর ক্ষমতা হারায় কংগ্রেসও।
আপের প্রার্থিতালিকায় ঠাঁই হয়নি ২০ জন বিধায়কের। তিন বিধায়কের নিকটাত্মীয়েরা অবশ্য টিকিট পেয়েছেন। প্রার্থিতালিকায় গুরুত্ব পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস ছেড়ে আপে যোগদান করা এবং দলের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত কর্মীরা।
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আপ। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। ১৯৯৮-২০১৩ দিল্লিতে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস শেষ দু’টি বিধানসভা ভোটে একটিও আসন জিততে পারেনি।