দেওঘর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভজনত্রি জানিয়েছেন, সোমবার সূর্যাস্তের পর উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখতে হয়। কেননা তিন পর্যটকের মৃত্যুর পর আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি উদ্ধারকারী দল।
মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতেই ফের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। তখনই ফের দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: পিটিআই।
দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়েতে উদ্ধারকাজের সময় দড়ি ছিঁড়ে মৃত্যু হল এক মহিলা পর্যটকের। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল মোট চার। মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। দড়ি ছিঁড়ে নীচে পাথুরে জমিতে আছড়ে পড়েন ওই মহিলা পর্যটক। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি জাউসাগঢ়ীর বাসিন্দা।
সোমবার উদ্ধারকাজ চালানোর সময় ভারতীয় বায়ুসেনার উদ্ধারকারী কপ্টার থেকে ফেলা দড়ি হাত থেকে পিছলে দেড় হাজার ফুট উচ্চতা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পর্যটকের। চার পর্যটকের মৃত্যু হলেও বাকিদের নিরাপদেই নীচে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে।
দেওঘর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভজনত্রি জানিয়েছেন, সোমবার সূর্যাস্তের পর উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখতে হয়। কেননা তিন পর্যটকের মৃত্যুর পর আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি উদ্ধারকারী দল। সন্ধ্যার পর উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে গেলেও আটকে থাকা পর্যটকদের ড্রোনের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ত্রিকূট পাহাড়ের এই রোপওয়ে একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। রবিবার বিকেলে ত্রিকূট পাহাড়ের রোপওয়েতে দু’টি ট্রলির মধ্যে ধাক্কা লাগে। তার জেরে দুই মহিলা পর্যটকের মৃত্যু হয়। সোমবার মৃত্যু হয় আরও এক পর্যটকের।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।