Hanskhali

Hanskhali Rape Case: হাঁসখালি-ধর্ষণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আর্জি হাই কোর্টে

মমতা বলেন, ‘‘আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লভ অ্যাফেয়ার বলবেন...না কি শরীরটা খারাপ ছিল, না কি কেউ ধরে মেরেছে... আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা কী? ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার নাকি লভ অ্যাফেয়ার ছিল শুনেছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২ ১১:৪৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নদিয়ার হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার আবেদন জানালেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ তখন আইনজীবীকে বলে, “আবেদন জমা দিন। আমরা বিবেচনা করে দেখছি।”

হাঁসখালির ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যখন রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে, সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে সেই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ঘটনার পাঁচ দিন পর কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করল নির্যাতিতার পরিবার। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বাবার রাজনৈতিক পরিচয়কে কেন বড় দেখানো হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মমতা বলেন, ‘‘আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লভ অ্যাফেয়ার বলবেন...না কি শরীরটা খারাপ ছিল, না কি কেউ ধরে মেরেছে... আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা কী? ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার নাকি লভ অ্যাফেয়ার ছিল শুনেছি।’’ এর পর মমতা ডিজি-র কাছে জানতে চান, তিনি ঠিক বলছেন কি না।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “অন্যায় করলে শাস্তি হবে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। এবং সেটা কোনও রাজনৈতিক রং না দেখেই।”

Advertisement

যদিও নাবালিকার মা দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল না। তিনি স্পষ্টই জানান, গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সমর গয়ালির ছেলে ব্রজগোপাল গয়ালিই তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তবে তার সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না, তিনি জানেন না।

প্রসঙ্গত, নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে হাঁসখালির গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গয়ালির ছেলে ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অত্যধিক রক্তপাতে ওই নাবালিকার মৃত্যুও হয়। এমনকি রাতারাতি ওই নাবালিকার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement