—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পড়াশোনার ফাঁকে চেন্নাইয়ে বাড়ি বাড়ি খাবার, জিনিসপত্র পৌঁছে দিতেন ১৯ বছরের যুবক। আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, জিনিসপত্র দেরিতে পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে এক গ্রাহকের সঙ্গে বচসা হয়েছিল। তার পরেই চরম পদক্ষেপ করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জে পবিত্রন। ১১ সেপ্টেম্বর কোরাট্টুরে একটি বাড়িতে মুদি দোকানের কিছু জিনিস পৌঁছতে গিয়েছিলেন। বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিলেন না বলে সেখানে পৌঁছতে দেরি হয়েছিল পবিত্রনের। সেই নিয়ে শুরু হয় বচসা। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ওই মহিলা গ্রাহক এই নিয়ে তিরস্কার করেন পবিত্রনকে। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে ওই সংস্থায় অভিযোগও করেন। এর পর পবিত্রনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে ওই সংস্থা।
দু’দিন পর আবার ওই গ্রাহকের বাড়ির জানলায় ঢিল ছোড়েন পবিত্রন। এর পরেই থানায় অভিযোগ ওই মহিলা। থানায় যুবককে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁকে এই নিয়ে বকাঝকা করে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। গত মঙ্গলবার আত্মহত্যা করেন যুবক। তাঁর ঘর থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে ওই যুবক চরম পদক্ষেপ করার নেপথ্যে এই ঘটনাকে দায়ী করেছেন। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, তারা বাড়তি চাপ দিয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।