দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। ফাইল চিত্র।
আবার সেই দিল্লি! দিল্লিতে রাতে নারী নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে পড়লেন মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। বৃহস্পতিবার ভোররাতে মহিলা কমিশনের প্রধানকে গাড়িতে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যে গাড়িতে মহিলা কমিশনের প্রধানকে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই গাড়ির চালক তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ। তবে বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন স্বাতী। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন তিনি।
বর্ষবরণের রাতে গাড়িতে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার ভয়াবহতার সাক্ষী থেকেছে দিল্লি। সুলতানপুরী এলাকায় অঞ্জলি সিংহ নামে এক তরুণীকে গাড়িতে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয় অঞ্জলির। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধানও এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার মুখোমুখি হলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টে ১১ মিনিটে দিল্লির এমসের কাছে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বাতী। সেই সময় গাড়ি নিয়ে তাঁর কাছে যান হরিশ চন্দ্র নামে ৪৭ বছরের এক ব্যক্তি। মহিলা কমিশনের প্রধানকে জোর করে গাড়িতে ঢোকানোর চেষ্টা করেন ওই চালক। সেই সময় তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। স্বাতীর থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর দলের অন্য সদস্যরা।
স্বাতীর অভিযোগ, গাড়িতে ওঠার প্রস্তাব ফেরানোর পর গাড়ি চালিয়ে কিছুটা চলে যান ওই ব্যক্তি। তার পর আবার ইউ-টার্ন নিয়ে তাঁর কাছে ফিরে আসেন। এর পর জোর করে স্বাতীকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। এই সময় গাড়ির জানলার কাছে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরার চেষ্টা করেন স্বাতী। সেই সময় গাড়ির কাচ তুলে দেন অভিযুক্ত। তাতে আটকে যায় স্বাতীর হাত। অভিযোগ, এই অবস্থায় স্বাতীকে হিঁচড়ে প্রায় ১৫ মিটার যায় গাড়িটি। এর পর নিজেই গাড়ির কাচ থেকে হাতটা সরিয়ে প্রাণ বাঁচান স্বাতী।
এই ঘটনায় টুইটারে মহিলা কমিশনের প্রধান লিখেছেন, ‘‘ঈশ্বর জীবন বাঁচিয়েছেন। দিল্লিতে যদি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনই না সুরক্ষিত থাকেন, তা হলে পরিস্থিতিটা এক বার কল্পনা করে দেখুন।’’ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর গাড়ি।