কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা নাবালিকার। — প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে উপস্থিত প্রেমিক এবং প্রাক্তন প্রেমিক। বেশ কিছু ক্ষণ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর শুরু হয় নাবালিকাকে মারধর। প্রাণ বাঁচাতে কুয়োয় ঝাঁপ দিল সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুলে। পুলিশ নাবালিকার দুই প্রেমিককেই গ্রেফতার করেছে। সন্ধান চলছে আরও কয়েক জনের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেতুলের এক নাবালিকার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। তা ভেঙে যায়। পরবর্তী কালে নাবালিকার সঙ্গে আরও একজনের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হয় বর্তমান প্রেমিকের। দু’জনে মিলে ঠিক করেন, প্রেমিকার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে, কার সঙ্গে সম্পর্ক চায় সে? সেই মতো ছুরি, লাঠি নিয়ে দু’জন আরও কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে উপস্থিত হন। নাবালিকাকে ডেকে সামনাসামনি জানতে চাওয়া হয়, কাকে চায় সে। এ নিয়ে বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। দু’জন মিলে নাবালিকাকে মারধর করতে শুরু করেন। প্রাণ বাঁচাতে নাবালিকা দৌড়ে চলে যায় কুয়োর কাছে। তার পর ঝাঁপ।
নাবালিকা কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছে খবর পেয়েই স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। প্রাক্তন ও বর্তমান, দুই প্রেমিককেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকাকে কুয়ো থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নাবালিকাকে পাঠানো হয় জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, নাবালিকা তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলত। কিন্তু সম্প্রতি তা বন্ধ করে দেয়। সেই রাগ থেকেই নাবালিকার বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার পর এই ঘটনা। নাবালিকার পরিবারের তরফে দু’জনের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।