Delhi Violence

আধমরা অবস্থায় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করেছিল পুলিশ, চলেছিল মারধর, প্রাণ গেল যুবকের

ভিডিয়োতে ফুটপাতের পাশে নীল জামা পরা এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তিনিই ফয়জান বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৫৬
Share:

নীল জামা পরা এই ব্যক্তিরই মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ভিডিয়োটি। তাতে আধমরা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা পাঁচ যুবকের উপর নৃশংস অত্যাচার চালাতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। জোর করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানো হচ্ছিল তাঁদের দিয়ে। না গাইলে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় মাথাও ঠুকে দেওয়া হচ্ছিল। জানতে চাওয়া হচ্ছিল, ‘‘আর আজাদি চাই!’’ নৃশংস অত্যাচারের শিকার সেই পাঁচ যুবকের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

মৃত ওই যুবককে ফয়জান (২৪) বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির কর্দমপুরীর বাসিন্দা তিনি। বৃহস্পতিবার লোক নায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতালের চিকিৎসক কিশোর সিংহ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ওই যুবককে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওঁর শরীরে গুলি লাগে। অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল।’’

ভিডিয়োতে ফুটপাতের পাশে নীল জামা পরা এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তিনিই ফয়জান বলে জানা গিয়েছে। এখনও হাসপাতালের মর্গেই তাঁর দেহ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি বেদপ্রকাশ সূর্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ১৩ হাজার ২০০ ফোন পেয়েও নিষ্ক্রিয় ছিল দিল্লি পুলিশ! প্রকাশ্যে নয়া অভিযোগ​

আরও পড়ুন: ১২৩টি এফআইআর, আটক ৬৩০, স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে থমথমে রাজধানী​

ওই ভিডিয়োয় কৌসর আলি নামের এক ব্যক্তিও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর ছেলে তারিক আলি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সোমবার রাত ১০টা নাগাদ একটা ফোন আসে। বলা হয়, আহত অবস্থায় গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে ভর্তি বাবা। তার পর ফেসবুকে ওই ভিডিয়োয় বাবাকে দেখতে পাই।’’ কৌসর আলি পেশায় চিত্রশিল্পী ছিলেন। সোমবার তিনি ইন্ডিয়া গেট থেকে কর্দমপুরীর বাড়িতে ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন তারিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement