উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভাগীরথী বিহার এলাকায় পুলিশের টহল। ছবি: পিটিআই
দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’। সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর শেষ করে দেশে ফেরার পরের দিনই ভারতে থাকা মার্কিন নাগরিকদের দিল্লিতে চলাফেরায় ‘সাবধান থাকা’র পরামর্শ দিল তাঁর সরকার। বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে ‘উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলা’র কথা বলা হয়েছে।
সোমবার দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার রাতে তিনি ফিরে গিয়েছেন দেশে। তার আগে সন্ধ্যার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। সেখানে অবধারিত ভাবেই ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন। জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে।’’ দিল্লির সংঘর্ষের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। তবে এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’
কিন্তু মুখে এ কথা বললেও হোয়াইট হাউস যে দিল্লির অশান্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তা বোঝা গেল তাঁর দেশে ফেরার পরেই। বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে দিল্লির হিংসার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সাবধান করা হয়েছে ভারতে থাকা মার্কিন নাগরিকদের। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসাত্মক প্রতিবাদ চলছে। ভারতে থাকা মার্কিন নাগরিকদের সেই কারণে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে সব এলাকায় গন্ডগোল চলছে, সেগুলিও এড়িয়ে চলুন।’’
আরও পড়ুন: আতঙ্কে আছি, পুলিশ কিছু করছে না! ডোভালকে নালিশ ছাত্রীর
আরও পড়ুন: ‘প্রশাসন নিষ্ক্রিয়’, দিল্লিতেও গুজরাত দাঙ্গার ‘মডেল’ দেখছেন বিরোধীরা
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। কার্যত অবরুদ্ধ উত্তর-পূর্ব দিল্লি। বেশ কয়েকটি স্টেশনে বন্ধ মেট্রো চলাচল। সেই সব বিষয় উল্লেখ করে আমেরিকার সাবধানবাণী, ‘‘অশান্তির বিষয়ে আপডেট, রাস্তা, মেট্রো ও অন্যান্য যানবাহন সম্পর্কে তথ্য পেতে স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলিতে নজর রাখুন। ভারত সরকার বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। যার অর্থ, চার জনের বেশি একসঙ্গে জমায়েত হওয়া নিষেধ। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখুন।’’