দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে কিছুটা বদল এনেছেন কর্তৃপক্ষ। ফাইল চিত্র।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে কিছুটা বদল করা হল। নতুন করে যুক্ত করা হল কিছু অধ্যায়। আবার সেমিস্টার অনুযায়ী পুরনো কিছু অধ্যায় পিছিয়ে গেল বেশ খানিকটা। নতুন এই পাঠ্যক্রমে মহাত্মা গান্ধীরও আগে চলে এলেন হিন্দুত্ববাদী নেতা বীর সাভারকর।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্নাতক স্তরে পঞ্চম সেমিস্টারের পাঠ্যক্রমে সাভারকরের অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। তবে ওই অধ্যায় ঐচ্ছিক। ছাত্রছাত্রীরা না চাইলে তা পাঠ্যক্রম থেকে বাদও দিতে পারবেন।
পঞ্চম সেমিস্টারে সাভারকরের এই ঐচ্ছিক অধ্যায়টি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শুক্রবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সাভারকরের অধ্যায় প্রসঙ্গে একমত হন কর্তৃপক্ষ।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে মহাত্মা গান্ধীর উপর একটি অধ্যায় আগে থেকেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গান্ধীর ভূমিকা পড়ানো হত ওই অধ্যায়ে। কিন্তু নতুন করে পাঠ্যক্রম সাজানো এবং সাভারকরের অধ্যায় যুক্ত করার ফলে গান্ধীর অধ্যায়টি বেশ খানিকটা পিছিয়ে গিয়েছে। তা এখন চলে গিয়েছে সপ্তম সেমিস্টারে। অর্থাৎ, গান্ধী সম্বন্ধে পড়ার আগে পঞ্চম সেমিস্টারেই সাভারকরের কথা পড়বেন ছাত্রছাত্রীরা।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে কখনও সাভারকরের উপর পূর্ণ একটি অধ্যায় পড়ানো হয়নি। নতুন পাঠ্যক্রমের বিরোধিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন অধ্যাপক। তবে তাঁরা সাভারকরের অধ্যায় যুক্ত করার বিরোধিতা করেননি। তাঁদের মূল আপত্তি গান্ধীর অধ্যায়টি পিছিয়ে যাওয়ায়। অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, সাভারকর কিংবা আম্বেদকরের অনেক আগে গান্ধী এসেছিলেন। কালানুক্রম অনুযায়ী তাঁর আগে থাকার কথা। তাই তাঁকে পাঠ্যক্রমে আগে রাখা উচিত। সে ভাবেই ভারতের অতীত রাজনীতি জানার কথা ছাত্রছাত্রীদের। যদিও বিরোধিতা উড়িয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে গান্ধীর আগে এসেছেন সাভারকর।