প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট কেজরীওয়ালের। ফাইল চিত্র।
অর্ডিন্যান্স বিতর্কে প্রতিবাদের ঝাঁজ আরও বাড়াল আপ। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আপ শাসিত আর এক রাজ্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও জানিয়ে দিয়েছেন যে, নীতি আয়োগের বৈঠক ‘বয়কট’ করছেন তিনি। শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিরোধী শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ‘গরহাজিরা’ শাসক বিজেপিকে অস্বস্তিতে রাখবে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। কিন্তু পরে অর্ডিন্যান্স এনে ১০ পাতার গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে। আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। (দিল্লির) মুখ্যমন্ত্রী হবেন এর চেয়ারপার্সন। কিন্তু কমিশনে কেন্দ্র এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রতিনিধি সংখ্যা বেশি থাকায় তাঁরাই কার্যত ‘নির্ণায়ক’ হবেন আমলাদের বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে। ১২ মে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ তুলে সব বিরোধী দলকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন কেজরীওয়াল।
রবিবার কেজরীওয়ালের বাড়ি গিয়ে তাঁর পাশে থাকার কথা জানিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। রাজ্যসভায় ওই বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সকে বিল হিসাবে পাশ করানোর চেষ্টা হলে সব বিরোধী দল একত্রিত হয়ে তা রুখবে বলেও জানান নীতীশ। তারপর গত মঙ্গলবার কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বুধবার মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরে, বৃহস্পতিবার শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন কেজরীওয়াল। এর মধ্যেই শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চেয়েছেন আপ প্রধান। অর্ডিন্যান্স-বিতর্কে যে আরও সুর চড়াবেন কেজরীওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নীতি আয়োগের বৈঠক করে তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।