নরেন্দ্র মোদী এবং কুণাল মার্চেন্ট। ফাইল চিত্র।
দিন কয়েক আগে ‘প্রধানমন্ত্রীর টেবিল বানানোর প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করে তাঁর পাঠানো ইমেল ভাইরাল হয়েছিল নেটমাধ্যমে। আসবাব শিল্পী (ফার্নিচার ডিজাইনার) কুণাল মার্চেন্টের সেই দাবির অনুসন্ধানে নেমে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। আর সেই সূত্র ধরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের ‘মুখরক্ষা’র জন্যই দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানার এই অতিসক্রিয়তা কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আসবাব শিল্পী হিসাবে পরিচিত নাম কুণালের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত সচিব পরিচয় দিয়ে বিবেক কুমার নামে এক ব্যক্তি গত ১২ এপ্রিল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইমেলে বিবেক জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁর দফতরে ব্যবহারের জন্য কুণালকে দিয়ে একটি টেবিল তৈরি করাতে চান। জবাবি ইমেলে শুক্রবার কুণাল লেখেন, ‘এমন গৌরবজনক কাজে আমার নাম বিবেচনার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমার রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থান ভিন্ন। তাই সম্মান জানিয়েই এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলাম।’
নিজেকে গাঁধীবাদী বলে জানিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘আধিপত্যবাদী, পক্ষপাতদুষ্ট, জাতিবাদী এবং ঘৃণার রাজনীতিতে কোনও অবদান রাখতে চাই না। তাই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্ব দেশের সংখ্যালঘু এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ দুরবস্থায় রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, আসবাব শিল্পী হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিচিতিসম্পন্ন কুণাল গাঁধীবাদীর পাশাপাশি নিজের পরিচয় দেন কর্মযোগী এবং বম্বেওয়ালা হিসেবেও।
কুণাল টুইটারে সেই খবর জানানোর পরেই সক্রিয় হয় দিল্লি পুলিশ। মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত দিল্লির পুলিশ কমিশনার আস্থানা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে কুণালকে এমন কোনও প্রস্তাবই দেওয়া হয়নি। ঘটনাটি নিছক প্রতারণার চেষ্টা। রাকেশ টুইটারে লেখেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, এবং পরিচয় জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’