সারজিল ইমাম। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া
অসম সরকার মামলা করেছিল আগেই। শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে এবার এফআইআর করল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োর ভিত্তিতে সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ এনে মামলা করে অসম সরকার। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে সারজিলকে বলতে দেখা যায়, ‘‘অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত। অসমে মুসলিম ও বাঙালিদের মারা হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে সব বাংলাভাষীকে মারা হবে। যথেচ্ছ ভাবে তাঁদের ডিটেনশন শিবিরে পাঠানো হচ্ছে। তাই রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে ভারত থেকে অসমকে আলাদা করতে হবে। পুরো না হলেও কয়েক দিনের জন্যে।’’ এই মন্তব্যকে প্ররোচনামূলক মনে করেই মামলা রুজু করে অসম সরকার।
শাহিনবাগ আন্দোলনের প্রধান মুখ সারজিল ইমাম জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। শাহিনবাগে ধর্না শুরু হওয়ার সময় থেকেই ঘরছাড়া তিনি। সিএএ-এর বিরুদ্ধে লাগাতার লিখে গিয়েছেন বেশ কয়েকটি হিন্দি ও ইংরেজি সংবাদপত্রে। যদিও বিক্ষুব্ধদের একাংশের মত, মতানৈক্যের জন্যে শাহিনবাগ আন্দোলন থেকে সরে গিয়েছেন সারজিল।
আরও পড়ুন:‘লড়াইয়ে অহিংসার পথ ভুললে চলবে না’, প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি
আরও পড়ুন: ৬৮০ জন মাতাল গাড়িচালককে শায়েস্তা করেছেন, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেলেন এই পুলিশকর্মী
অতীতেও বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাঁকে নিয়ে। অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষিত হওয়ার পরে সংবিধান পুড়িয়ে দেওয়ার কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। সম্প্রতি তাঁর এই ভিডিওটি সামনে আসায় নড়েচড়ে বসেছে শাসকশিবিরও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলছেন, ‘‘ভোটের লোভে অনেক নেতা বলছেন তাঁরা শাহিনবাগের পক্ষে। আজকের ভিডিওটি সামনে আসার পরে তাঁরা কী করবেন।’’