দলের পান্ডা পিঙ্কু মেসির বিরুদ্ধে ছিল খুনের অভিযোগও। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ‘মেসি গ্যাং’-এর মূল পান্ডা এবং তাঁর তিন শাগরেদ। তাঁদের বিরুদ্ধে চুরি, পকেটমারি, ছিনতাই— নানা রকমের অপরাধের অভিযোগ ছিল। দলের পান্ডার বিরুদ্ধে ছিল খুনের অভিযোগও।
পুলিশ জানিয়েছে, দলের পান্ডা পিঙ্কু মেসির বয়স ৪৩ বছর। এ বারের বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক লিয়োনেল মেসির অন্ধ ভক্ত তিনি। নিজেও খেলতেন ফুটবল। পিঙ্কু মেসির দলের বিরুদ্ধে প্রায় পঞ্চান্নটি পকেটমারির অভিযোগ ছিল। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্ক থানার পুলিশ এলাকায় টহলদারির সময় একটি সন্দেহজনক অটোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। সেটির মধ্যে মোট চার জন ব্যক্তি বসে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই এলাকায় বসে থাকার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ বলতে পারেননি তাঁরা। উল্টে পুলিশকে তাঁরা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।
পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের কাছে মোট ১১টি মোবাইল পাওয়া যায়। মোবাইলগুলি কার বা কোথা থেকে এল, সে সম্পর্কে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় তাঁরা কুখ্যাত ‘মেসি গ্যাং’-এর সদস্য। দলের পান্ডা পিঙ্কু মেসি ওরফে আন্নি মেসিও ছিলেন ওই দলে। দলের অন্য সদস্যরা অজয় কুমার, পাম্মি ওরফে অজয় এবং ফিরোজ খান। খানাতল্লাশির পর তাঁদের কাছে থেকে আরও ৪৫টি দামি ফোন উদ্ধার করা হয়। মোট ৫৬টি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে। এর পরই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানা গিয়েছে, গত চার-পাঁচ বছর ধরে তাঁরা এই কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা মূলত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লিতেই ‘কাজ’ করতেন। কোনও ব্যক্তিকে লক্ষ্য বানিয়ে তাঁকে জনবহুল এলাকায় ঘিরে ধরে তাঁর মনঃসংযোগের ব্যাঘাত ঘটিয়ে মোবাইল এবং অন্যান্য দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করে অটোতে করে চম্পট দিতেন। পুলিশ জানিয়েছেন, চক্রের মূল পান্ডা নিজেও একজন ফুটবলার। চুরি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও রয়েছে।