দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল চিত্র।
বছর শেষের মুখে আবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। চিনে করোনার নতুন উপরূপ বিএফ৭-এর দাপাদাপিতে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। ভারতেও এই উপরপে আক্রান্তের হদিস পাওয়া গিয়েছে। এর পরই দেশ জুড়ে ভাইরাস নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে করোনার এই নয়া উপরূপে এখনও দিল্লিতে কেউ আক্রান্ত হননি বলে বৃহস্পতিবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
করোনার নতুন উপরূপের সন্ধান না পাওয়া গেলেও ভাইরাস মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে দিল্লি সরকার। রোজ আড়াই হাজার নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেজরী। আগামী দিনে যদি করোনার এই নতুন উপরূপ থাবা বসায়, তা মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত বলে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে মাস্ক পরা আবার বাধ্যতামূলক করা হবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে কেজরী জানান, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার পরিপ্রেক্ষিতেই ঠিক করা হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাস্ক পরা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, করোনার নতুন উপরূপের আক্রমণে চিন, আমেরিকা-সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে আবার সংক্রমণের হার বাড়ছে। যদিও ভারতে গত কয়েক মাস ধরেই কোভিড সংক্রমণ থিতু হয়েছে। সংক্রমণের হারও নিম্নমুখী। কিন্তু চিনে যে করোনার যে উপরূপের কারণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেই বিএফ৭-এর হদিস পাওয়া গিয়েছে ভারতে।
গত জুলাই, সেপ্টেম্বর, নভেম্বর মাসে গুজরাত ও ওড়িশায় ২ জন করে মোট ৪ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছিল এই উপরূপ। তবে ৪ জনেই সুস্থ রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যগুলিতে আক্রান্তদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়াতে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।